ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

আইসিসিতে প্রশ্নবিদ্ধ শেরে বাংলার আউটফিল্ড

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৭
আইসিসিতে প্রশ্নবিদ্ধ শেরে বাংলার আউটফিল্ড ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

মাঠ সংস্কারের পর অস্ট্রেলিয়া সিরিজ দিয়ে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফেরে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ। কিন্তু আউটফিল্ড আগের রূপ না পাওয়ায় তা শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এবার একে ‘খারাপ’ হিসেবে মূল্যায়ন করেছেন আইসিসির ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো, যিনি গত মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট প্রত্যক্ষ করেছিলেন।

আইসিসির পিচ ও আউটফিল্ড মনিটরিং প্রসেসের ধারা-৩ মোতাবেক রিপোর্ট জমা দিয়েছেন ক্রো। আউটফিল্ডের মান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।

এই রিপোর্টটি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে এরই মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতে ১৪ দিন সময় পাচ্ছে বিসিবি।

জবাব দেওয়ার পর তা পর্যালোচনা করবেন আইসিসি ক্রিকেট জেনারেল ম্যানেজার জিওফ অ্যালারডা‌ইস ও আইসিসি ম্যাচ রেফারিদের এমিরেটস এলিট প্যানেল থেকে রঞ্জন মাদুগালে।

এক সাক্ষাৎকারে বিসিবি’র সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘তাদের প্রধান উদ্বেগ ছিল ঘাস নিয়ে এবং আমরা বুঝতে পেরেছি তারা কেন এটিকে (আউটফিল্ড) বাজে হিসেবে বিবেচিত করেছে। গত এক দশকের মধ্যে এ বছরের আবহাওয়া সবচেয়ে খারাপ ছিল, কিন্তু গ্রাউন্ডস্টাফরা তাদের সেরাটা দিয়েছে। ’

এই প্রসেসের ধারা-৪ অনুযায়ী, প্রথমবার ‍এরকম রেটিংয়ের ক্ষেত্রে সংশোধনী পদক্ষেপ হিসেবে সতর্কতা অথবা জরিমানা আরোপ করা হবে। যা ১৫ হাজার ডলারের বেশি হবে না। যদি পাঁচ বছরের মধ্যে আবারো একই অবস্থার পুনরাবৃত্তি হয় জরিমানার অঙ্কটা ৩০ হাজার ডলার পর্যন্ত উঠবে।

বাংলাদেশের বর্ষা মৌসুমে হয়েছে ১-১ সমতার টেস্ট সিরিজটি। বৃষ্টি শঙ্কার মাঝেও নির্ধারিত সময়ের বেশ আগেই শেরে বাংলার আউটফিল্ড প্রস্তুত করে বিসিবি’র গ্রাউন্ডস কমিটি। ২০১৬ বিপিএলের পর পুরো মাঠের সংস্কার কাজ করা হয়। বিরতির পর অস্ট্রেলিয়া সিরিজ দিয়ে আবারো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ গড়ায় মিরপুরের উইকেটে।

জানা যায়, ঢাকা টেস্ট শুরুর আগে থেকেই আউটফিল্ড নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ কাজ করছিল। এমনকি অন্য কোনো ভেন্যুতে ম্যাচ সরিয়ে নেওয়ার কথাও হয়েছিল। ইএসপিএন ক্রিকইনফো বলছে ম্যাচের আগেরদিন স্টেডিয়ামে কিউরেটর গামিনি সিলভা ও বিসিবির গ্রাউন্ডস বিভাগের স্টাফদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেন জেফ ক্রো।

ম্যাচ রেফারির কাছে মাঠ যথাসময়ে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি বলেও কথা শোনা যায়। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে নাকি আরও সময় চেয়েছিল গ্রাউন্ডস্টাফরা। টেস্ট শুরুর পর তা পরিষ্কার হয়! আউটফিল্ড ছিল ধীরগতির। স্বাভাবিকের চেয়ে গ্রাউন্ডের খারাপ মান নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছিলেন কয়েকজন খেলোয়াড়।

সর্বোপরি ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর ‍এ প্রথম শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আউটফিল্ড এমন পরীক্ষার সামনে পড়লো।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।