দুই টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও দুই ম্যাচের সিরিজ খেলতে দীর্ঘ ৯ বছর পর এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। আর এই সফরের উদ্দেশে ক্রিকেটারেরা দেশ ছেড়েছিলেন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে।
গত শনিবার সকাল ১০টায় দুবাইয়ের ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করেন দলের ম্যানেজার ও প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ এবং তিন ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাইজুল ইসলাম ও লিটন দাস। এরপর ঐদিনই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দুবাইগামী বিমান ধরেন অধিনায়ক মুশফিক সহ টেস্ট দলের বাকি সদস্যরা।
পৃথক ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়লেও সবাই সাক্ষাৎ করেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী দুবাইয়ে। এরপর সেখান থেকে একযোগে জোহানেসবার্গের বিমানে চড়ে বসেন তারা।
জোহানেসবার্গে টাইগাররা থাকছেন ইন্টারকন্টিনেন্টাল সানফ্লাওয়ার হোটেলে। অবশ্য অন্যদের সাথে সেখানে পৌঁছাননি বাঁহাতি ওপেনার তামিম ইকবাল। বিশ্ব একাদশের হয়ে ম্যাচ খেলায় বাংলাদেশি ওপেনার দলের সাথে যোগ দিচ্ছেন পৃথকভাবে।
দলের সাথে নেই প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেও। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পর ছুটি কাটাতে সিডনি গিয়েছিলেন এই শ্রীলঙ্কান, এখনও আছেন সেখানেই।
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে পচেফস্ট্রুমে শুরু হবে দুই দলের মধ্যকার দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় টেস্ট। তার আগে ২১-২৩ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের বাছাইকৃত দলের বিপক্ষে তিনদিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
টেস্ট সিরিজ শেষে আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে শুরু হবে ওয়ানডে সিরিজ। তখন দলের সাথে যোগ দিতে দেশ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার পথে উড়াল দেবেন ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ও টেস্ট থেকে ৬ মাসের ঐচ্ছিক ছুটি নেওয়া ওয়ানডের সহ-অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৪ ঘণ্টা, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
এমএমএস