দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল লঙ্কানরা। আগামী রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী লড়াই।
৬৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে মাঠ ছাড়েন দাসুন শানাকা ও থিসারা পেরেরা। শানাকা ২৪ বলে ৪২ ও পেরেরা ১৮ বলে ৩৯ রানের বিস্ফোরক ইনিংস প্রদর্শন করেন। ওপেনার কুশল মেন্ডিস ২৭ বলে ৫৩ ও দানুশকা গুনাথিলাকা ১৫ বলে ৩০ রানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দাপুটে শুরু এনে দেন। উপুল থারাঙ্গা ৪ ও নিরোশান ডিকভেলা ১১ রান করেন।
অভিষিক্ত নাজমুল ইসলাম অপু দু’টি ও আফিফ হোসেন নেন একটি উইকেট। ৩.৪ বলে ৫২ রানের বিনিময়ে অন্যটি পেসার রুবেল হোসেনের। তিন ওভারে ৩২ রানের খরুচে বোলিং করেন মোস্তাফিজুর রহমান। দুই ওভারে ৩৩ রান দেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।
এর আগে টস জিতে সৌম্য-মুশফিক-মাহমুদউল্লার ব্যাটিং নৈপুণ্যে পাঁচ উইকেটে ১৯৩ রানের রেকর্ড সংগ্রহ দাঁড় করায় স্বাগতিক শিবির। টি-টোয়েন্টিতে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর। আগের সর্বোচ্চ ১৯০ (আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে, ২০১২ সালে বেলফাস্টে)।
পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে আসে ৭১। ১০ ওভারে ১০০। চতুর্থ উইকেটে ৭৩ রানের জুটিতে দলকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যান মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৪৪ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন মুশফিক। তাতে ছিল ৭টি চার ও ১টি ছক্কার মার। ১৯তম ওভারে আউট হওয়ার আগে মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে আসে ৩১ বলে ৪৩।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাট হাতে ঝড় তুলে উড়ন্ত শুরু এনে দিয়ে টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম ফিফটি তুলে নেন সৌম্য সরকার (৫১)। তার ৩২ বলের মারকুটে ইনিংসটিতে ছিল ৬টি চার ও ২টি ছক্কার মার। দলীয় ৪৯ রানের মাথায় ওপেনিং জুটি ভাঙে। ইনজুরি আক্রান্ত তামিম ইকবালের জায়গায় নামেন অভিষিক্ত জাকির হাসান (১০)। সৌম্য-মুশফিক দ্বিতীয় উইকেট পার্টনারশিপে যোগ হয় ৫১।
অভিষেক ম্যাচে ব্যাট হাতে দুর্ভাগ্যের শিকার আফিফ (০)। সৌম্যর বিদায়ের একই ওভারে (একাদশ) বল পায়ে লেগে নিচে পড়ার সময় ব্যাটের পেছনে লেগে যায়। ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচ লুফে নেন উইকেটরক্ষক নিরোশান ডিকভেলা। দলীয় ১০০ রানেই তৃতীয় উইকেট হারায় টাইগাররা। শেষ ওভারে আউট হন সাব্বির রহমান (১)।
দলে ফেরা লেগস্পিন অলরাউন্ডার মেন্ডিস দু’টি উইকেট লাভ করেন। একটি করে নেন গুনাথিলাকা, ইসুরু উদানা ও থিসারা পেরেরা।
বাংলাদেশ একাদশে নতুন মুখ চারজন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত জাকির হাসান, আফিফ হোসেন, আরিফুল হক ও নাজমুল ইসলাম অপু। বাহুর পেশীর ব্যথা পুরোপুরি সেরে ওঠায় তামিমকে নিয়ে কোনো ঝুঁকি নেয়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। কবজির সমস্যা কাটিয়ে শঙ্কা দূর করেন মুশফিক।
আঙুলের চোটের কারণে টেস্ট সিরিজ মিস করেন সাকিব আল হাসান। ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের ফাইনালে ইনজুরি আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই মাঠের বাইরে তিনি। সাকিবের অনুপস্থিতিতে দলের নেতৃত্বভার মাহমুদউল্লাহর কাঁধে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
এমআরএম