আসন্ন ম্যাচটিতে তার রেকর্ডের শেষ এখানেই নয়। সিরিজের শেষ এই ম্যাচটির দুই ইনিংসে ৫ উইকেট করে নিলে ৭ টেস্টে তার চলতি বছরের খতিয়ানে যোগ হবে ৫০ উইকেট।
চলতি বছরে ৬ টেস্ট থেকে তার সংগ্রহ ৪০ উইকেট। তাইজুলের চেয়ে ৩ ম্যাচ (৯ টেস্ট) বেশি খেলে ৪৬ উইকেট নিয়ে শীর্ষে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসো রাবাদা।
কিন্তু মজার ব্যপার হলো, তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে টেস্টে ১শ’ উইকেট কিংবা বিশ্ব ক্রিকেটের প্রেক্ষাপটে বছরের সর্বোচ্চ শিকারি, এর কোনো কিছুই তাইজুল ইসলামের মাথায় নেই। যা আছে তা শুধুই ভাল বোলিং।
‘এখন আমার মাথায় এত কিছু নেই। আমি ভালো বোলিং করাটাই চেষ্টা করে যাবো। প্রথম থেকে যেই চিন্তা সেটাই প্রয়োগ করবো। উইকেট যদি কপালে থাকে, আসলে ভালো বল করলে উইকেট পাওয়ার চান্সটা বেশি থাকে। আমি ভালো বল করার চেষ্টাটাই করবো। ’
সোমবার (২৬ নভেম্বর) মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি চত্বরে তিনি একথা বলেন।
৬ টেস্ট, ১১ ইনিংস, ৪০ উইকেট তাইজুলের। ৫ উইকেট চার বার। ৪ উইকেট তিন বার। উইকেটহীন থাকেননি কোনো ইনিংসেই। সবশেষ উদাহরণ হিসেবে যদি সদ্য সমাপ্ত চট্টগ্রাম টেস্টের কথাই বলি, জহুর আহমেদের ওই উইকেটে সাকিব, মিরাজের মতো স্বীকৃত শিকারিরা থাকতেও দুই ইনিংসেই নিজের বোলিং প্রতিভার ছাপ রেখেছেন তাইজুল।
প্রথম ইনিংসে ১ উইকেট নিয়ে কিছুটা নিস্প্রভ থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে রীতিমতো বোলিং ঘূর্ণিতে ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটদের নাকাল করে তুলে নিয়েছেন ৬টি উইকেট। যা তাকে এনে দিয়েছে ওই টেস্টে সেরা বোলারের স্বীকৃতি।
কিন্তু সাকিবকেই সেরা মানছেন এবং তার সঙ্গে তুলনা করাটা তার কাছে যেন বেয়াদবিরই সামিল।
‘আসলে আমাদের এশিয়ায় বলেন বা বাহিরে বলেন, সাকিব ভাই এর সাথে কারো তুলনা করা যায় না। তারপরও সাকিব ভাই থাকার পরও যখন আমি উইকেট পাই, তখন অনেক ভালো লাগে। মনে হয় একদিন সাকিব ভাই এর মতো হয়তো হতে পারবো না, অ্যাট লিস্ট কাছাকাছি যেতে পারবো। এমন মনে হয়, কিন্তু সাকিব ভাই সাকিভ ভাই-ই। ’
৫৪ ম্যাচের ৯১ ইনিংসে ২০১ টি উইকেট নিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে দেশের মধ্যে সবার শীর্ষে সাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ২৬ নভেম্বর, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস