ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৩ মার্চ ২০২৫, ১২ রমজান ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে আমাদের অগ্রসর হতে হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৫
‘জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে আমাদের অগ্রসর হতে হবে’ ...

চট্টগ্রাম: জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। জাতীয় ঐক্য থাকলে মানুষ শান্তিতে থাকবে, দেশের সমৃদ্ধি ও সম্প্রীতি সুদৃঢ় হবে।

চারটি বিষয়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তা হলো- স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব, স্থায়ী গণতন্ত্র, সকলের গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ও দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ।
 

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের নব নির্মিত ভবনে সর্বাধুনিক ডায়াগনস্টিক ল্যাবের উদ্বোধন ও মেজবান অনুষ্ঠান তিনি এসব কথা বলেন।  

তিনি বলেন, বাংলাদেশে নৈতিকতা সম্পন্ন দেশ প্রেমিক লিডারশীপের অভাব রয়েছে। আমরা বার বার যুদ্ধ করেছি, কিন্তু সঠিক নেতৃত্ব পায়নি। সৎ লোকের বড় অভাব। ৭২ এর যে সংবিধান সেটি অবৈধ একটি সংবিধান। দুর্বল ও মেরুদণ্ডহীন কোনো নেতৃত্ব যখন দেশ পরিচালনা করে তখন সে দেশের অবস্থা নড়বড়ে হয়ে পড়ে। শুধু হাসাপাতালে ক্রাইসিস না দেশের সব জায়গায় ক্রাইসিস। নেতৃত্বের ক্রাইসস।

ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, আমাদের শাহজাহান ভাইয়ের একটি সফল অপারেশন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে হয়েছে। চট্টগ্রামের একটি নির্ভরযোগ্য হাসপাতালে পরিণত হয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতাল। এ হাসপাতাল অপারেশনে সফলতার ক্ষেত্রে অল্প সময়ে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। আমাদের দেশে এখনো চিকিৎসা সেবার বেশিরভাগ নির্ভর করে বেসরকারি হাসপাতালের ওপর। মেট্রোপলিটন হাসপাতালকে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল বললে ভুল হবে না। কারণ তারা ইতোমধ্যে চিকিৎসা ক্ষেত্রে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। একজন ডাক্তারকে অবশ্যই আপনাকে দায়িত্ববান হতে হবে। আপনাকে নৈতিকতা সম্পন্ন হতে হবে।  

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, একদিন আমাকে ইন্ডিয়ান হাই কমিশনার বলে, আপনাদের কিছু হলেই ইন্ডিয়া যান। কিন্তু আজকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের যে সমৃদ্ধি সেটি আমাকে আশা যোগিয়েছে। আমাদের অনেক ভালো মানের হাসপাতালে চট্টগ্রামে রয়েছে কিন্তু মানুষ তদবির করে ইন্ডিয়াতে যাওয়ার জন্য। কি কারণে মানুষ ইন্ডিয়া ছুটতে চায় সেটি আমাদের ভাবতে হবে। মা ও শিশু হাসপাতালে উন্নয়ত মানের অনেক টাকা খরচ করে ক্যান্সার ইউনিট করা হয়েছে। কিন্তু মানুষ বিদেশে ছুটে। ফার্সাসিক্যাল কোম্পানি গুলোকে আমরা এখনো আইনের আওতায় আনতে পারছিনা। একটি ওষুধ দিলে রোগী কেন ভালো হচ্ছে না কেন? সেটি আমরা তদন্ত করছি না৷ আমরা চিকিৎসা করছি ৩০ শতাংশ বাকি ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ রোগী দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। আমাদের যে রোগী রয়েছে সে রোগী গুলো দিয়ে এ রকম ৫০০ বেডের ভবন নির্মান করা যাবে।  

তিনি বলেন, আমাদের সরকারি হাসপাতালে ভবন হচ্ছে যন্ত্রপাতি কিনছি। কিন্তু এগুলো কি চালানোর লোক আছে? আমাদের দক্ষ লোকবল তৈরি করতে হবে। শুধু মেশিন থাকলে হবে না। মেশিনের পেছনের কারিগরের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির শাহজাহান চৌধুরী বলেন, আমি নিজেও আমার হার্টের অপারেশন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে করিয়েছি। আল হামদুলিল্লাহ আমি এখনো সুস্থ আছি। দৈনিক অনেকগুলো কাজ করছি। দৈনিক পাঁচদিরও অধিক মাহফিলে যোগ দিচ্ছি। এছাড়া সাংগঠনিক কাজ তো আছেই। সবমিলিয়ে আল হামদুলিল্লাহ আমি সুস্থ আছি।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম মোহসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সিনিয়র অধ্যাপকরা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৫ 
বিই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।