চট্টগ্রাম: দৈত্যাকার হাতি আকাশে ভাসছে। অক্টোপাস সাঁতার কাটছে বায়ুসাগরে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় হাজার হাজার তরুণ-তরুণী ফানুস উৎসবে মেতে ওঠেন। আলোর বানে ঢোলের তালে তালে নেচে গেয়ে তারা উচ্ছ্বাসের জানান দেন। ছিল আতশবাজির ফোয়ারা আর আগুনের খেলাও।
সম্মিলিত প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন পরিষদের ব্যানারে বৌদ্ধ মন্দির চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
প্রবারণা পূর্ণিমার শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, আমার সামনে পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে পাচ্ছি। অপূর্ব দৃশ্য। যেভাবে জমায়েত হয়েছে এ উৎসব চট্টগ্রামের ইতিহাসে বিরল ঘটনা। যে আনন্দঘন উৎসবমুখর পরিবেশে জমায়েত হয়েছেন, আনন্দ করছেন তার মধ্যে সার্থকতা দেখতে পাচ্ছি। প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসব, সবার জন্য। আমি আনন্দিত বিশাল জমায়েত দেখে। উৎসবমুখর পরিবেশে আপনারা প্রবারণা পূর্ণিমা পালন করছেন এটাই হচ্ছে বাংলাদেশের সার্থকতা। আমরা সবাই মিলে যার যার ধর্ম কর্ম কৃষ্টি ইতিহাস সব পালন করেও আমরা বাংলাদেশি। আমরা ঐক্যবদ্ধ। সবাই একসাথে এগিয়ে যাচ্ছি। আগামীর বাংলাদেশে জাতীয় ঐক্যের ইতিহাস করার চেষ্টা করছি আজকে এখান থেকে আমি অন্তত অনুপ্রেরণা নিয়ে যাচ্ছি।
পরিষদের সভাপতি রিটন কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। আর্শীবাদক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের অধ্যাপক ড. জ্ঞানরত্ন মহাস্থবির।
ত্রিনয়ন বড়ুয়া জানান, চট্টগ্রাম জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় ফানুস উৎসব নন্দনকাননের বৌদ্ধ মন্দিরেই হয়। দেড় হাজারের বেশি ফানুস উড়ানো হয়েছে। নগরের বৌদ্ধ তরুণ-তরুণী ছাড়াও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বৌদ্ধ শিক্ষার্থী, চট্টগ্রামে কর্মরত চাকমা, মারমা তরুণ-তরুণীরাও এ উৎসবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছেন।
নন্দনকানন বৌদ্ধ মন্দিরের বাইরে নগরের বিভিন্ন বৌদ্ধমন্দির, বিভিন্ন উপজেলার বৌদ্ধমন্দির থেকেও প্রচুর ফানুস উড়েছে। পার্বত্য জেলা ও কক্সবাজারেও বড় পরিসরে ফানুস উৎসব হয়েছে।
এআর/পিডি/টিসি