ঢাকা, শনিবার, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১, ০১ মার্চ ২০২৫, ০০ রমজান ১৪৪৬

শিক্ষা

শহীদদের স্মরণ করে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের যাত্রা শুরু

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫১ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২৫
শহীদদের স্মরণ করে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের যাত্রা শুরু

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি): জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের কবর জিয়ারত করে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেছে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ।

শনিবার (১ মার্চ) রাজধানীর মোহাম্মদপুরে রায়েরবাজারে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত হয়ে কবর জিয়ারত করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব জাহিদ আহসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক আব্দুল কাদের ও সদস্য সচিব মহির আলম, মুখ্য সংগঠক হাসিব আল ইসলাম প্রমুখ।

কবর জিয়ারত শেষে জাহিদ আহসান বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতি একটি শূন্যতা তৈরি হয়েছে। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পর গত ৫৪ বছরে বাংলাদেশে কোনো সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি হয়নি। বরং ছাত্ররাজনীতির নামে ক্যাম্পাসগুলোয় ট্যাগিং কালচার, মাদার পার্টির এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য পুরো ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করে রাখার প্রচেষ্টা দেখেছি।

তিনি বলেন, সেই ধারাবাহিকতায় একটি সুস্থ ধারার মেধা ও মনন এবং দায় ও দরদের রাজনীতি প্রতিষ্ঠার জন্য গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ যাত্রা শুরু করেছে। আমরা মোহাম্মদপুর রায়েরবাজার জুলাই-আগস্টে শহীদ পরিবার ও যাদের পরিবার তাদের লাশ খুঁজে পায়নি, এমন ব্যক্তিদের কবর জিয়ারত করেছি।

জুলাই গণঅভ্যুত্থান নতুন ছাত্রসংগঠনের শক্তি ও ভিত্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই গণঅভ্যুত্থান বাদ দিয়ে বাংলাদেশে আগামীতে কোনো রাজনীতি হবে না। মানুষ যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে রাজপথে নেমে এসেছিল, সেই আশা-আকাঙ্ক্ষাই হবে বাংলাদেশের রাজনীতির মূল ভিত্তি। শহীদদের পাশে দাঁড়িয়ে আমরা প্রতিজ্ঞা করছি, যে দায় ও দরদের জন্য তারা জীবন দিয়েছেন, আমরা তা ধারণ করবেন। আমরা ভুল করলে শুধরে দেবেন, ভালো করলে বাহবা দেবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও তারুণ্যের স্বপ্ন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ভিত্তি। আমাদের শহীদি ভাই ও সহযোদ্ধারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাসিনার পতন ঘটিয়েছে। একটি গণঅভ্যুত্থানের দুটি শর্ত থাকে। বিদ্যমান ব্যবস্থা উপড়ে ফেলা এবং নতুন বন্দোবস্ত হাজির করা। আমরা প্রথম দায়িত্ব পালন করেছি। এখন আমাদের দায়িত্ব হলো নতুন বন্দোবস্ত হাজির করা। ক্যাম্পাসে লেজুড়বৃত্তি, দাসত্বের যে সংস্কৃতি ছিল, সে জিম্মি করে রাখার সংস্কৃতি উপড়ে নতুন ব্যবস্থা হাজির করতে চায়। ছাত্রদের ব্যবহার করে যেভাবে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে রাখছে, তা আমরা উপড়ে ফেলতে চাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২৫
এফএইচ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

শিক্ষা এর সর্বশেষ