ঢাকা: ৩৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা এক মাস পিছিয়ে নেওয়া হয়েছে। ৬ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে আগামী ৬ মার্চ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকাসহ সাতটি বিভাগীয় শহরে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সদস্য শরীফ এনামুল কবীর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা ডায়ানা ইসলাম সিমা বাংলানিউজিকে বলেন, অনিবার্য কারণে পরীক্ষা পেছানো হয়েছে।
তবে সূত্র মতে, ফেব্রুয়ারি মাসে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষাসহ বেশ কিছু নিয়োগ পরীক্ষা বিবেচনায় ও কেন্দ্র না পাওয়ায় পরীক্ষা পেছানো হয়েছে।
৩৫তম বিসিএসে পিএসসির ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রার্থী প্রাথমিক আবেদনপত্র জমা দিয়েছে। এবার এই প্রার্থীদের সংখ্যা দুই লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন।
শুরুতে ডিসেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রার্থী হওয়ায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক হল প্রাপ্তি, সুষ্ঠু পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা চূড়ান্ত ও নিশ্চিত করার বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনায় রেখে পরীক্ষা ফেব্রুয়ারি মাসে নেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল।
পরীক্ষার হল, আসন বিন্যাস ও নির্দেশাবলী পরবর্তীতে পিএসসির ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় প্রকাশ করা হবে বলে জানান পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর নতুন নিয়মে ৩৫তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়, যাতে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ২০০ নম্বর এবং এক ঘণ্টার এমসিকিউ দুই ঘণ্টা নেয়ার কথা।
এবার বিভিন্ন ক্যাডারে এক হাজার ৮০৩ জন প্রার্থী নেওয়া হবে। আবেদনকারীর সংখ্যা অনুযায়ী, প্রতি পদের জন্য ১৩৫ জন প্রার্থী লড়বে।
৩৪তম বিসিএসে প্রার্থীর সংখ্যা ছিল দুই লাখ ২১ হাজার ৫৭৫ জন।
৩৫তম বিসিএসে আবেদন ফরম পুরণ ও ফি জমাদান শুরু হয় ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায়। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ৩০ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টায় অনলাইনে আবেদনের সময় শেষ হয়। এরপর আরো ৭২ ঘণ্টা অনলাইনে ফি জমা দেয় প্রার্থীরা।
এবার ঢাকায় এক লাখ ৫৫ হাজার ২৪৪ জন, রাজশাহীতে ২১ হাজার ৮৭৩ জন, চট্টগ্রামে ২০ হাজার ৪৬৯ জন, খুলনায় ১৪ হাজার ৭৮ জন, বরিশালে পাঁচ হাজার ৭২৯ জন, সিলেটে নয় হাজার ৮৫৮ জন এবং রংপুরে ১৬ হাজার ৮৫৬ জন প্রার্থী আবেদন করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৪/আপডেটেড-১৮৪৩ ঘণ্টা