জবি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির ২০১৭ সালের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সোমবার (১২ ডিসেম্বর)। এবারো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সাদা দল।
তবে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। কিন্তু নীল দলের এই দুই প্যানেলের অভ্যন্তরেই সাদা দলের অর্থাৎ বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের যাতায়াত রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে শিক্ষক মহলে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে গত কয়েক দিনের মতো রোববার (১১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শিক্ষক নির্বাচনে ভোটার শিক্ষকদের কাছে ভোট প্রার্থনায় ছুটে বেরিয়েছেন উভয় প্যানেলের সমর্থক শিক্ষকরা।
জানা যায়, গত ২৮ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনার ফিন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছগীর হোসেন খন্দকার তফসিল ঘোষণা করেন। ১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা এবং ৭ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। নির্বাচনে কার্যনির্বাহী পরিষদের মোট ১৫ সদস্য নির্বাচিত করবেন শিক্ষকরা।
নির্বাচনে নীল দলের একটি পক্ষ কলা অনুষদের ডিন ও ইতিহাস বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. সেলিমকে সভাপতি ও সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনিত করে একটি প্যানেল ঘোষণা করেছে।
অপরদিকে সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রিয়ব্রত পালকে সভাপতি ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল বাকীকে সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনিত করে প্যানেল ঘোষণা করেছেন অন্য আরেকটি পক্ষ।
শিক্ষকরা জানান, নির্বাচনে একই আদর্শের দু’টি প্যানেল হওয়ায় ভোটাররা ব্যক্তি ইমেজের ওপর গুরুত্ব দেবেন। যারা শিক্ষকদের স্বার্থে কাজ করেন, তাদেরকেই নির্বাচিত করা হবে।
তবে নির্বাচনে উভয় পক্ষের প্রার্থীরাই জয়ের বিষয়ে আশাবাদী। এ বিষয়ে সভাপতি প্রার্থী ও ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। কারণ আমরা এর আগেও নির্বাচন করেছি। আমরা শিক্ষকদের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করেছি। আশা করছি প্রিয় সহকর্মীরা তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে আমাদের জয়যুক্ত করবেন।
নির্বাচনে অংশ নেওয়া অন্য প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী অধ্যাপক ড. প্রিয়ব্রত পাল বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচিত হলে আমরা শিক্ষকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করবো।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৬
ডিআর/জেডএস