ম্যাচের শুরুর দিকে হামজা চৌধুরীর গোলে এগিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথমার্ধের ৪৫ মিনিট পর্যন্ত বেশ ভালোভাবেই সেই লিড ধরে রেখেছিল স্বাগতিকরা।
এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে হংকং চায়নার বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। ম্যাচের শুরুর দিকে হামজার গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। এই লিড ধরে রেখেই প্রথমার্ধ শেষ করার পথে ছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তবে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে এভারটন কামারগোর গোলে সমতা ফেরায় হংকং।
ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে বাংলাদেশ। ১৩ মিনিটে হামজার গোলে লিড নিয়ে চালকের আসনে বসে কোচ হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা। বক্সের বাঁ প্রান্তে ফ্রি-কিক পায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে হামজার বাকানো ফ্রি-কিক হেডে ক্লিয়ার করতে চেয়েছিলেন হংকং চায়নার এক ফরোয়ার্ড। তবে তার চেষ্টা ব্যর্থ করে জাল খুঁজে নেয় বল।
এরপর বেশ কিছু আক্রমণ করলেও তা গোলে রূপান্তর করতে পারেনি বাংলাদেশ। ম্যাচের ২৫ মিনিটের পর থেকে কিছুটা রক্ষণাত্মক খেলতে থাকে কাবরেরার শিষ্যরা।
৩৫ মিনিটে একক প্রচেষ্টায় ডান প্রান্ত থেকে আক্রমণে যান রাকিব। যদিও তার সে চেষ্টা আলোর মুখ দেখেনি। বক্সের ভেতর নেওয়া তার শট ক্লিয়ার করেন হংকং চায়নার এক ডিফেন্ডার। পরের মিনিটে মিডফিল্ড থেকে ড্রিবলিং করে বল টেনে নেন সাদ উদ্দিন। তার সে চেষ্টা বৃথা যায়।
৩৮তম মিনিটে এগিয়ে যেত পারত হংকং চায়না। এভারটর কামারগোর দারুণ এক শট নেন গোলমুখে। তার সে নিশানা ধূলিস্যাৎ করে স্বাগতিকদের বিপদমুক্ত করেন মিতুল। ১৩ নম্বর জার্সিধারী তরুণ গোলরক্ষক এমন বেশ কিছু শট রুখে দলকে রক্ষা করেন।
৪১ মিনিটে ঠিকই বিপদে পড়তে পারত বাংলাদেশ। সতীর্থের পাস ধরে নিকোলাস বেনাভিদেস জালে বল জড়ান। তবে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারের বহু আগেই বক্সে ঢুকে পড়েন হংকং ফুটবলার। মুহূর্তেই অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি।
অতিথিদের কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত আসে যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে। নিজেদের অর্ধে জটলার মধ্যে বল ক্লিয়ার করার জন্য হেড দেন মিডফিল্ডার রাকিব হোসেন। উপকারের পরিবর্তে বিপদ বাড়ান তিনি। গোল পোস্টের সামনে থাকা এভারটন কামারগো স্রেফ পা ছুঁইয়েই বল জালে জড়িয়েছেন। আর তাতে সমতা ফেরে ম্যাচে।
এআর/এমএইচএম