বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয় আবাহনী ও আরামবাগ। ম্যাচের ৭ মিনিটেই ক্যামেরুনের পল এমিলের বানিয়ে দেওয়া বলে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন আরামবাগের শাহরিয়ার বাপ্পী।
২৯ মিনিটে সমতায় ফেরে আবাহনী। হাইতির বেলফোর্টের শট আরামবাগের গোলরক্ষক ঠেকিয়ে দলেও বল চলে যায় চিজোবার কাছে। তার হেডও ঠেকিয়ে দেন এক ডিফেন্ডার। ফিরতি শটে গোল করেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে।
আবাহনীর সমতায় ফেরার স্বস্তি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। মাত্র ২ মিনিট পরেই পেনাল্টি থেকে গোল করে এগিয়ে যায় আরামবাগ। এমিলের পাস থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন শাহরিয়ার বাপ্পী। কিন্তু তাকে ফাউল করে বসেন আবাহনীর গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল। পেনাল্টি থেকে গোল করেন উজবেকিস্তানের ফরোয়ার্ড বোবোজনোভ ইকবালজন নরমাতোভিচ।
ফের সমতায় ফিরতে বেশি সময় নেয়নি আবাহনীও। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে আরামবাগের গোলরক্ষক মাজহারুল ইসলাম হিমেলকে পরাস্ত করে গোল করেন আবাহনীর মিডফিল্ডার সোহেল রানা।
এদিকে ম্যাচের আসল নাটক যেন ম্যাচের শেষ মুহূর্তের জন্য জমা ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই গোলের জন্য মরিয়া চেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু গোলমুখ খুলতে ব্যর্থ হয় দুই দলই। ম্যাচ যখন অতিরিক্ত সময়ে গড়াবে বলে মনে হচ্ছিল ঠিক সেই মুহূর্তে আচমকা নাবীব নেওয়াজের ফ্রি-কিক থেকে বল পেয়ে ডাইভিং হেড করেন তপু বর্মণ। আর তার সেই হেড থেকে অসাধারণ এক গোল করে দলকে জিতিয়ে দেন বেলফোর্ট।
এই জয়ে ফেডারেশন কাপের চলতি আসরের প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনালে পা রাখলো আবাহনী লিমিটেড।
ম্যাচের শেষদিকে অবশ্য ওই বেলফোর্টের জয়সূচক গোল নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গোল করার সময় অফসাইডে ছিলেন বেলফোর্ট, আরামবাগের খেলোয়াড়রা এমন দাবিতে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার পর রেফারি ও সহকারী রেফারিদের উপর চড়াও হন আরামবাগের খেলোয়াড়, অফিসিয়াল ও বলবয়রা। এমনকি সহকারী রেফারি হারুনুর রশিদকে বালতি দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
আগামীকাল শুক্রবার (৯ নভেম্বর) বিকেল পাঁচটায় ওয়ালটন ফেডারেশন কাপের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবে নবাগত সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৮
এমএইচএম