যারা বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তাদের বেশির ভাগেরই মৃদু লক্ষণ-উপসর্গ। তারা বাড়িতেই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন।
বুধবার দুপুরে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, উপসর্গ যখন শেষ হয়, তখন থেকে ১৪ দিন পর দ্বিতীয়বার নমুনা নেওয়া হয়। এরপর সাতদিন পর আরেকবার নমুনা নেওয়া হয়। পরপর দুটি নমুনা যদি নেগেটিভ আসে, তাহলে আমরা তাকে সুস্থ বলতে পারি।
ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা হয়েছে ১৬৩ জন। এছাড়া এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সুস্থ হয়েছেন ১১ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫০ জন।
তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে চার হাজার ৯৬৮টি। এ পর্যন্ত মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৯ হাজার ৭০১টি।
ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হওয়া আটজনের মধ্যে ঢাকার ছয়জন, বাইরের দুইজন। ছয়জন পুরুষ, দুইজন নারী। বয়স বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে দেখা যায়, চার জনের বয়সই ৬০ বছরের বছরে বেশি। ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে দুইজন। ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুইজন।
নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১০৪ জন। মোট আইসোলেশনে আছেন এক হাজার ৩০৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আসেন দুই হাজার ৫৪৪ জন। সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা আছে নয় হাজার ৭৩৮টি। ঢাকার ভেতরে আছে তিন হাজার ৯৪৪টি। ঢাকা সিটির বাইরে পাঁচ হাজার ৬৯৪টি। আইসিইউ বেড সংখ্যা আছে ৩৪১টি। ডায়ালাইসিস ইউনিট আছে ১০২টি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২০
পিএস/টিএ