এর আগে গত ১ মে রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু সন্দেহে ডেঙ্গুজ্বর নিয়ে দুই জন রোগী ভর্তি হয়। পরে তারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে অদ্যবধি রাজধানীসহ সারাদেশে বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু সন্দেহে ও ডেঙ্গুজ্বর নিয়ে ২৯৬ জন ভর্তি হয়েছিলেন। পরে সবাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
রোববার (৩ মে) রাতে মহাখালী স্বাস্থ্য অতিদপ্তরে হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোলরুম বলছে, গত ১ জানুয়ারি থেকে অদ্যবধি রাজধানীসহ সারাদেশে বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু সন্দেহে ও ডেঙ্গুজ্বর নিয়ে ২৯৬ জন ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে ২৯৬ জন ছাড়পত্র নিয়ে চলে গেছেন। চলতি বছরে জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে ১৯৯ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৪৫ জন, মার্চে ২৭ জন, এপ্রিলে ২৫ জনসহ মোট ২৯৬ জন রোগী ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে চলতি মাসে এখন হাসপাতালে কেউ ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়নি।
আয়শা আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, বর্ষার মৌসুমে ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা বাড়ে। এখনো রোগীর সংখ্যা সেভাবে বাড়েনি। তবে ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা জুন, জুলাই, আগষ্ট মাসে বাড়ার সম্ভবনা আছে। ওই তিন মাস ডেঙ্গুর পিক টাইম।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবিলার পাশাপাশি আমরা এডিস মশার নিধনে কাজ করছি। আমরা একটা জরিপ পরিচালনা করেছি ঢাকা সিটির মধ্যে। এ জরিপে উঠে এসেছে কোন কোন অঞ্চলে এডিস মশার প্রাদুর্ভাব বেশি। কোন কোন অঞ্চলে গত বছরে বেশি আক্রান্ত হয়েছিল। সেই হিসেবেই আমাদের কার্যক্রম চলছে।
তিনি আরো বলেন, দেশের অন্যান্য বিভাগে এখন কোনো ডেঙ্গুরোগী নেই। চলতি মাসে কোনো ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়নি। এ বছরে ডেঙ্গুজ্বর ও ডেঙ্গু সন্দেহে এই পর্যন্ত কোনো রোগীর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০২০
পিএস/এএটি