বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে বিদেশি নাগরিকসহ ভিন্ন জেলা (সংক্রমিত) থেকে আগত ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে রাখার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ফলে গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ বিভাগের ৬ জেলায় মোট ১০ হাজার ৭৮৪ জনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়।
এরমধ্য হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় ১০ হাজার ১০৬ জনকে, আর এরমধ্যে ৮ হাজার ৪৭৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন জেলায় হাসপাতালে (প্রতিষ্ঠানিক) কোয়ারেন্টিনে ৬৭৮ জন রয়েছেন এবং এ পর্যন্ত ৬১২ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের ৬ জেলায় ১৩১ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে এবং গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের ৬ জেলায় ১৪৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভাগের মধ্যে শুধুমাত্র বরগুনা জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এছাড়া পটুয়াখালী জেলায় ১৭ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এর বাইরে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসা প্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা ২৭৯ জন এবং এরইমধ্যে ১৮২ জনকে ছাড়পত্রও দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানিয়েছেন, বিভাগের মধ্যে এ পর্যন্ত বরিশাল জেলায় ৫১ জন, পটুয়াখালীতে ৩০, ভোলায় ৮, পিরোজপুরে ১৯, বরগুনায় ৩৮ ও ঝালকাঠিতে ১৪ জন করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে।
পাশাপাশি বিভাগের মধ্যে এ পর্যন্ত বরিশাল জেলায় ৩৪ জন, পটুয়াখালীতে ১৬, ভোলায় ২, পিরোজপুরে ৪, বরগুনায় ২২ ও ঝালকাঠিতে ৫ জন করোনা পজেটিভ রোগী সুস্থ হয়েছেন। এদেরে মধ্যে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া বরিশালের মুলাদীতে, পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলায় ১ জন, মির্জাগঞ্জে ১ ও দুমকিকে ১ জন এবং বরগুনা জেলার আমতলী ও বেতাগীতে একজন করে ছয়জন ব্যক্তির করোনায় মৃত্যু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২০
এমএস/এএটি