বৃহস্পতিবার (১৪ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বেশ কয়েক ঘণ্টা ভর্তি বন্ধ থাকায় করোনা ভাইরাস উপসর্গের অনেক রোগী এসে ফিরে গেছেন।
ধামরাই থেকে রহমত আলী (৭০) নামে এক বৃদ্ধকে নিয়ে এসেছিলেন তার ছেলে রাশেদুল ইসলাম।
রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে মিজানুর রহমান তার মা সাবিনা বেগমকে (৬০) চিকিৎসার জন্য ঢামেক করোনা ইউনিটে নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু ভর্তি হতে না পেরে নিরাশ হয়ে মাকে নিয়ে বাসায় চলে যেতে বাধ্য হন।
যাওয়ার আগে মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এর আগে মাকে নিয়ে মগবাজার আদ-দ্বীন হাসপাতালে গিয়েছিলাম। সেখানে ভর্তি করাতে পারিনি। ঢামেকেও পারলাম না। আল্লাহর নামে মাকে বাসায় নিয়ে যাচ্ছি। জীবন-মৃত্যু আল্লাহর হাতে। আল্লাহ দেখবেন।
রোগীর স্বজনরা জানান, ঢামেক হাসপাতাল করোনা ইউনিটের ভর্তি কক্ষের সামনে লেখা ছিল, ‘আমরা অতি দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমাদের এখানে সিট খালি নেই। অনুগ্রহ করে মুগদা অথবা কুর্মিটোলায় চলে যান’।
এ বিষয়ে কথা হয় ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালের উপ-পরিচালক আলাউদ্দিন আল আজাদের সঙ্গে। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ রোগীদের কিছু নিয়ম-কানুন মেনে ভর্তি করা হয়। যেমন ধরুন আগে বার্ন ইউনিটে রোগীদের গাদাগাদি থাকতো। এখন তো সেরকম করা যাবে না। চার থেকে পাঁচ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে কোভিড-১৯ রোগীদের রাখা হচ্ছে। এছাড়া ঢামেক করোনা ইউনিটে কোনো রোগীকে ফ্লোরেও রাখা হয় না। বেড খালি হলে আবারও রোগী ভর্তি করা হয় সেই বেডে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হয়তো বা সকালের দিকে রোগী পরিপূর্ণতার কারণে ভর্তি কিছু সময় বন্ধ ছিল। তবে এখন ভর্তি কার্যক্রম চালু আছে ১০ থেকে ১৫টা সিটে।
ঢামেক করোনা ইউনিটে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ, ওটা কারা লিখেছে বিষয়টি দেখা হচ্ছে। সেটি খুলে ফেলা হয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও জানান, আগামী শনিবারের (১৬ মে) মধ্যে চালু করা হচ্ছে ঢামেকের করোনা ইউনিট-টু। এ জন্য নতুন ভবনকে প্রস্তুত করা হয়েছে। সেখানে আনুমানিক ৫০০ রোগী ভর্তি হতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২০
এজেডএস/টিএ