কলকাতা: চিরতরে বিদায় নিল ৪৬তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। বাৎসরিক বই উৎসবের শেষ প্রহরে চিরাচরিত প্রথা মেনে রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঘণ্টা ধ্বনিতে শেষ হলো কলকাতা বইমেলা।
গত ৩০ জানুয়ারি হাতুড়ির শব্দে সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কে (বইমেলা প্রাঙ্গন) সূচনা হয়েছিল কলকাতা বইমেলার। উদ্বোধন করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। থিমকান্ট্রি ছিল স্পেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বইমেলার আয়োজক বুক সেলার্স অ্যান্ড পাবলিসার্স গিল্ড- এর সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বলেন, আজ বাঙালির আর এক বিজয়া দশমী। বড় বেদনার, আমরা সবাই বড় মর্মস্পর্শি। তবে শেষ হলেই আবার শুরু হয়। সেই অপেক্ষায় আমরাও রইলাম।
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, কলকাতার দুর্গাপূজা ধর্মীর্য় অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতির উৎসব। যা দেখতে গোটা ভারত থেকে মানুষ আসেন। ঠিক তেমন সংস্কৃতির উৎসব হলো কলকাতা বইমেলা। লাখো লাখো মানুষ আসেন এই মেলাকে কেন্দ্র করে। এখান থেকে আমাদের মনের ক্ষুধা মেটে। মনকে তৃপ্ত করে আমাদের এই বইমেলা। সত্যিই এটা বইয়ের বিজয়া দশমী। আজকে শেষ আবার শুরু আগামী বছর।
এ বছর মুখ্যমন্ত্রীর ব্যবস্থাপনায় ৪৬ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা পেয়েছে স্থায়ী ঠিকানা। মুখ্যমন্ত্রী যার নাম দিয়েছেন বইমেলা প্রাঙ্গণ। পাশপাশি এবারের মতন এতবেশি প্রকাশক, পুস্তক বিক্রেতা, লিটল ম্যাগাজিন এবং দেশি-বিদেশিদের অংশগ্রহণ বইমেলার ইতিহাসে আগে কখনো ঘটেনি। সব মিলিয়ে ৭০০ ছোটবড় প্রকশানা এবং ২০০ লিটল ম্যাগাজিন মিলিয়ে মোট ৯০০টি প্রকশনা অংশ নিয়েছে।
ব্রিটেন, আমেরিকা, ফ্রান্স, ইতালি, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, বাংলাদেশ, আর্জেন্টিনা, কিউবা, পানামা, মেক্সিকো, গোয়াতেমালা, বলিভিয়া, কোস্টারিকা, ইকুয়েডর, ডমিনিকান রিপাবলিক এবং থাইল্যান্ড -সহ এবারের কলকাতা বইমেলায় অংশ নিয়েছিল ২০টি দেশের এবং ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের প্রকাশনা সংস্থা। স্টল ছাড়াও অনলাইন বিক্রি হয়েছে বই। লাখ লাখ মানুষের সমাগমে বইমেলার আয়োজকদের তথ্য অনুযায়ী, বই মেলায় ২৬ লাখ মানুষ এসেছেন এবং ২৬ কোটি রুপির ব্যবসা হয়েছে। গতবার ২৩ কোটির বিক্রি হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৩
ভিএস/এসএ