নতুন আবিষ্কৃত একটি ধূমকেতু বুধবার পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে অবস্থান করবে। জ্যোতির্বিদরা বলছেন, এর যাত্রাকাল ৫০ হাজার বছরের।
জ্যোতির্বিদদের ধারণ করা একটি আলোকচিত্রে দেখা গেছে, এই ধূমকেতুর চারপাশে স্বতন্ত্র একটি সবুজ আভা রয়েছে।
তবে যারা এটি আকাশে দেখতে চাইবে তারা হতাশ হবে। কারণ খালি চোখে যা দেখা যায়, ধূমকেতুটির উজ্জ্বলতা এই সীমার কাছাকাছি।
রয়েল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির উপ-নির্বাহী পরিচালক রবার্ট মাসে বলেন, প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আমরা হয়তো আকাশে উজ্জ্বল সবুজ বস্তুটিকে জ্বলতে দেখব। দুঃখজনক হলো, এরকম কিছুই হবে না।
আলোক দূষণ থেকে দূরে থেকে এবং একেবারে অন্ধকার খোলা আকাশের নিচে থেকে কেউ হয়তো আকাশে অস্পষ্ট একটি দাগ দেখতে পারেন, যদি তিনি জানেন কী খুঁজছেন।
বাইনোকুলার ব্যবহার করলে ধূমকেতুটিকে হালকা সাদা ঝাপসা দেখা যেতে পারে। মাসেই বলেন, এটি খুঁজে পেতে ছোট একটি বাইনোকুলারই সাহায্য করতে পারে।
ধূমকেতু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বরফ ও ধূলিকণা দিয়ে গঠিত। যেহেতু এসব ধূমকেতু সূর্যের আশপাশে থাকে, তাই বরফ বাষ্প হয়ে যায়। আর ঝাঁকুনি এর দীর্ঘ লেজ তৈরি করে।
মাসেই বলেন, কেউ সৌভাগ্যবান হলে, তিনি ধূমকেতুটির লেজের সূত্র দেখতে পাবেন। ক্লাসিক ধূমকেতুর চেয়েও এটি ভালো দেখাবে।
ধূমকেতুটি বুধবার পৃথিবী থেকে ৪১ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরত্বে থাকবে।
ধূমকেতুকে সবুজ দেখা নতুন কিছু নয়। এটি তেজস্ক্রিয় পরমাণু- ডাইকার্বনের ভাঙনের ফল।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩
আরএইচ