চাঁদপুর: আঙুরের রয়েছে বিভিন্ন জাত, কোনোটির রং সবুজ, কোনোটি লাল, বেগুনি, কালো দেখতে। কোনো জাত লম্বা, কোনোটি গোল, আবার কোনো জাত ডিমের মতো দেখতে।
এর মধ্যে মনাক্কা আঙুরগোত্রেরই ফল। দেখতে অনেকটা গোল আঙুরের মতো, স্বাদেও রয়েছে মিল। তবে খেতে বেশি ভালো আঙুরই। তাই এর দামও বেশি।
এদিকে বেশিরভাগ মানুষই থোকা থোকা রসালো মনাক্কা ফলকে আঙুর ভেবে ভুল করেন। আর এ সুযোগটিই নেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। আঙুরের দাম নিয়ে এর পরিবর্তে ক্রেতার হাতে ধরিয়ে দেন মনাক্কা। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন এলাকার মতো চাঁদপুরের বাজারগুলোতেও আঙুর বলে মনাক্কা বিক্রি করা হচ্ছে দেদারসে।
এমন প্রতারণা করতে গিয়ে চাঁদপুরের দুই ফল ব্যবসায়ীকে জরিমানা গুণতে হয়েছে।
সোমবার (৮ মে) দুপুর থেকে শহরের পাল বাজার ও ছায়াবানী রোডস্থ ফল মার্কেটে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নুর হোসেন।
এসময় আঙুর ফল বলে কম দামের মনাক্কা ফল বিক্রির দায়ে পাল বাজারের ফল বিতানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ মোতাবেক পাঁচ হাজার টাকা এবং ছায়াবানী মোড়ের রেললাইন সংলগ্ন মামুন ফ্রুটসকে আঙুর বলে মনাক্কা বিক্রি ও মূল্য তালিকা না রাখায় পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া মূল্য তালিকা না থাকায় ছায়াবানী মোড়ের মতিউরের ফলের দোকানকে দুই হাজার টাকা এবং পাশের আব্দুল মান্নান ফল বিতানকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান শেষে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নুর হোসেন গণমাধ্যমের উদ্দেশে বলেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশনা ও জেলা প্রশাসকের সার্বিক সহযোগিতায় এ অভিযানটি পরিচালনা করা হয়। এসময় আঙুর বলে মনাক্কা বেশি দামে বিক্রি ও মূল্য তালিকা না থাকায় চার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমান করেছি।
তিনি আরও জানান, পাল বাজারে মুরগি ব্যবসায়ীরা মুরগি জবাই করে হাত দিয়ে মুরগির চামড়া ছাড়াতে ১০ টাকা করে নিচ্ছেন, যা অযৌক্তিক এবং অযাচিত এবং ভোক্তার সঙ্গে স্পষ্ট জুলুম। এ নিয়ে অনেকে অভিযোগ করেছেন। আজ এ বিষয়ে অভিযান চালানো হয়েছে এবং মুরগি ব্যবসায়ীরা কথা দিয়েছেন যে আগামীকাল থেকে তারা আর ১০ টাকা করে নেবেন না।
ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় এমন কার্যক্রম চলমান থাকবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২৩
এসআই