খুলনা: ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সব ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ দেওয়া কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আগামী ৯ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী সকাল ১০টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে খুলনা জেলায় চতুর্থ পর্যায়ে (দ্বিতীয় ধাপে) মোট ৯৮৭টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের কাছে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে খুলনার তেরখাদা উপজেলার ‘বারাসাত সোনার বাংলা পল্লীতে’ সরাসরি সংযুক্ত হবেন।
খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন সোমবার (৭ আগস্ট) দুপুরে তার সম্মেলনকক্ষে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ক শ্রেণির পরিবার যার জমি ও ঘর কিছুই নেই এমন ভূমিহীন-গৃহহীন, ছিন্নমূল ও অসহায়-দরিদ্র পরিবার এবং খ শ্রেণির পরিবার যার সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ জমির সংস্থান আছে কিন্তু ঘর নেই এমন পরিবার। ক শ্রেণির পরিবারের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারি নিষ্কণ্টক খাস জমি, সরকারিভাবে ক্রয়কৃত জমি, সরকারের অনুকূলে কারও দানকৃত জমি অথবা রিজিউমকৃত জমিতে ভূমিহীন-গৃহহীনদের ২ শতক জমিসহ সেমিপাকা একক গৃহ দেওয়ার মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। খাস জমির সংস্থান না থাকায় খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলায় ৫.০৩ একর, দিঘলিয়া উপজেলায় ২.৪১৮ একর, বটিয়াঘাটা উপজেলায় ২.০০ একর, ফুলতলা উপজেলায় ৪.১২ একর, রূপসা উপজেলায় ০.২৪ একর ও কয়রা উপজেলা ১.৫০ একরসহ মোট ১৫.৪৪৯ একর জমি ক্রয়পূর্বক ৫৯২টি পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও জনানো হয়, খুলনা জেলার মোট ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ৫ হাজার ৫২৯টি। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৯২২টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৩৫১টি ও তৃতীয় পর্যায়ে ৯০৬টি পরিবারের মধ্যে জমির মালিকানাসহ গৃহ হস্তান্তর করা হয়েছে। চলমান চতুর্থ পর্যায়ে বরাদ্দপ্রাপ্ত মোট গৃহের সংখ্যা ১ হাজার ৮১৯টি। ইতোমধ্যে চতুর্থ পর্যায়ে প্রথম ধাপে গত ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭৫৭টি গৃহ হস্তান্তর করেছেন। আগামী ৯ আগস্ট খুলনা জেলায় চতুর্থ পর্যায়ে দ্বিতীয় ধাপে মোট ৯৮৭টি গৃহ হস্তান্তরসহ এ জেলায় মোট ৫ হাজার ৭৮টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসিত হবে। বর্তমানে নির্মাণাধীন ৭৫টি গৃহে ভূমিহীন-গৃহহীন পুনর্বাসনের পর খুলনা জেলায় অবশিষ্ট ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার থাকবে ৩৭৬টি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্মিত ব্যারাকে তেরখাদা উপজেলায় ৩০টি, পাইকগাছায় ৭৩টি ও দাকোপ উপজেলায় ৫০টিসহ মোট ১৫৩টি এবং খুলনা-১ আসনের সংসদ সদস্য কর্তৃক দাকোপ উপজেলায় দুটি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. ইউসুপ আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এসএম মুনিম লিংকন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মুকুল কুমার মৈত্র, কেএমপির খালিশপুর জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার গোপীনাথ কানজিলাল, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলমগীর কবীরসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০২৩
এমআরএম/আরবি