ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রতিটি শিশুকে মীনার চোখে স্বপ্ন দেখতে হবে: সচিব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩
প্রতিটি শিশুকে মীনার চোখে স্বপ্ন দেখতে হবে: সচিব

ঢাকা: ‘প্রতিটি শিশুকে মীনার চোখে স্বপ্ন দেখতে হবে এবং সে স্বপ্নকে সফল করার জন্য সংকল্পবদ্ধ হতে হবে। মীনা যেভাবে সব প্রতিকূলতা, অজ্ঞতা, অন্ধতা, বৈষম্য, বিভেদের বিরুদ্ধে সজাগ ও সচেতন হয়ে সাহসের সাথে সব বাধা মোকাবিলা করে শিক্ষার পথে এগিয়ে যায়, তেমনি প্রতিটি শিশুকে মীনার মতো আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে শিক্ষার আলোয় নিজেকে আলোকিত করতে হবে।

কারণ শিক্ষাই মুক্তি। ’

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মিরপুর-১৩ নম্বর প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট পিটিআই মিলনায়তনে মিনা দিবসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ এ কথা বলেন।
 
এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য (থিম) ‘স্মার্ট শিশু স্মার্ট বাংলাদেশ’ এবং প্রতিপাদ্য (স্লোগান) ‘স্মার্ট বিদ্যালয় আর স্মার্ট শিক্ষা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার দীক্ষা’। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- গল্প বলার আসর, বিশেষ ব্যক্তিত্ব কর্তৃক শিশুদের উদ্দেশে প্রেরণামূলক বক্তব্য, পাপেট শো ও মাপেট শো, স্টল প্রদর্শনী, রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, যেমন খুশি তেমন সাজো  ও মীনাবিষয়ক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় কর্মসূচির সঙ্গে মিল রেখে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শানিত মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন এবং প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে সমস্যা সমাধানে প্রস্তুত আগামী প্রজন্ম গড়ে তোলার প্রত্যয়ে কাজ করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ শেলডন ইয়েট।

প্রতিবছর ২৪ সেপ্টেম্বর মীনা দিবস পালন করা হয়। কিন্তু এবার ওইদিন রোববার হওয়ায় পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত না করতে ২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার মীনা দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
  
জানা যায়, ১৯৯৮ সাল থেকে প্রতিবছর ২৪ সেপ্টেম্বর ‘মীনা দিবস’ হিসেবে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা ও ইস্ট-এশিয়ার দেশগুলো পালন করা হয়। দক্ষিণ এশিয়ার  দেশগুলোতে বিভিন্ন সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি এবং শিশুদের জন্য শিক্ষামূলক একটি অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে ইউনিসেফের সহায়তায় এই কার্টুন ধারাবাহিকটি নির্মিত।

মীনা দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন ভাষায় নির্মিত একটি জনপ্রিয় টিভি কার্টুন ধারাবাহিক। ১৯৯৩ সালে প্রথম এটি টেলিভিশনে প্রচারিত হয়। কার্টুন ধারাবাহিকের মূল চরিত্র ‘মীনা’ বাংলা ভাষায় নির্মিত কার্টুনগুলোর মধ্যে একটি অন্যতম জনপ্রিয় চরিত্র। বাংলাসহ ২৯টি ভাষায় মীনা তৈরি হয়েছে। কার্টুনটির প্রচার করা হয় সার্কভুক্ত সাতটি দেশগুলোর রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে। কার্টুন ছাড়াও কমিক বই ও রেডিও অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হয়েছে। এর স্রষ্টা বাংলাদেশের বিখ্যাত চিত্রশিল্পী মোস্তফা মনোয়ার। এই কার্টুনটির সূচনা সংগীতটি শিশুদের কাছে খুব প্রিয়

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩
এমএমআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।