ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১০ আশ্বিন ১৪৩২, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৭

জাতীয়

ইউনূস-মেলোনি বৈঠক, মানবপাচার বন্ধে শক্তিশালী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:০০, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৫
ইউনূস-মেলোনি বৈঠক, মানবপাচার বন্ধে শক্তিশালী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান ইউনূস-মেলোনি বৈঠক

নিউইয়র্কে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। বৈঠকে বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনার পাশাপাশি মানবপাচার রোধে শক্তিশালী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষে নিউইয়র্কে সফরে থাকা দুই নেতা বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সেখানকার একটি হোটেলে এ বৈঠক করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায়।

প্রেস উইং জানায়, বৈঠকে দুই নেতা বাংলাদেশের আসন্ন সাধারণ নির্বাচন, অভিবাসন সংকট, রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যা, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও বাণিজ্য এবং ডিসেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী মেলোনির সম্ভাব্য বাংলাদেশ সফরসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

অভিবাসন ইস্যুতে আলাপকালে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি নিরাপদ অভিবাসনের পথ নিশ্চিত করতে ঢাকার সঙ্গে গঠনমূলকভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, এতে দুই দেশ লাভবান হবে।

জর্জিয়া মেলোনি জোর দিয়ে বলেন, মানবপাচার মোকাবিলায় শক্তিশালী পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। এর কারণে ভূমধ্যসাগরে শত শত অভিবাসীর জীবন ঝরে যাচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের নাগরিকদের নিরাপদ অভিবাসন রুট নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে মানবপাচারের বিরুদ্ধে শূন্য-সহনশীলতার নীতিগ্রহণ করেছে এবং বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা মানবপাচার রোধে বৈশ্বিক পর্যায়েও আরও উদ্যোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এ বৈঠকে বাংলাদেশে ইতালীয় বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে একটি ইতালি-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম গঠনের প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি।

অধ্যাপক ইউনূস এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, দুই দেশের দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক থাকলেও বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে এখনো ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।

দেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন বিষয়ে আলাপকালে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পথে রয়েছে। নির্বাচনের পর তিনি আগের কাজে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনার কথা জানান।

ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনি গত ১৪ মাস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং তিনি আশ্বস্ত করেন-ইউরোপীয় ইউনিয়ন যাতে বাংলাদেশকে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সহায়তা করে, সেজন্য সমর্থন জানাবে ইতালি।

চলমান রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলাপকালে অধ্যাপক ইউনূস বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রিত ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানান। এর জবাবে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য রোহিঙ্গা সংকটবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেন মেলোনি।

এমইউএম/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।