ঢাকা: সাবেক মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের অবৈধ সম্পদের অভিযোগে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সাবেক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী থাকাকালে বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে কমিশন গ্রহণ করে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। নিজ নামে গাজীপুরের জয়দেবপুরে তিনতলা ভবন, একই এলাকায় আরেকটি দোতলা ভবন, তার নামে বিভিন্ন ব্যাংকে জমা ও অন্যান্য বিনিয়োগ পাওয়া যায়, তার নামে গাড়ি ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৩-৪৬৭৭ ও ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৫-৯৮৬০ রয়েছে, তার নামে গাজীপুরের বিভিন্ন মৌজায় ৬৯১ দশমিক ৮ শতক জমি এবং ১০১ দশমিক ৪৮৫ শতক অকৃষি জমি রয়েছে মন্ত্রী থাকাকালে কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে অসংখ্য ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্র দিয়েছেন বলেও জানা গেছে। তার নিজ নামে, স্ত্রী ও অন্যান্য আত্মীয় স্বজনের নামে-বেনামে সম্পদ অর্জন করেছেন মর্মে গোয়েন্দা তথ্যানুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে সঠিক পরিলক্ষিত হওয়ায় প্রকাশ্য অনুসন্ধানের জন্য কমিশন কর্তৃক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী থাকাকালে বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে কমিশন গ্রহণ করে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। নিজ নামে উত্তরা আবাসিক এলাকায় ফ্ল্যাটসহ পাঁচ কাঠা জমি, নিকুঞ্জ আ/এ ৩ কাঠা জমি, তার একক ও যৌথ মালিকানায় সিলেট বিয়ানীবাজারে অকৃষি জমি, তার নামে বিভিন্ন ব্যাংকে জমা ও অন্যান্য বিনিয়োগ, তার নামে স্ত্রীর নামে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ এবং বিভিন্ন ব্যাংকে জমা; গাড়ি ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৮-৪৪০০ রয়েছে, তার ভাই যুক্তরাজ্যে প্রবাসী ডা. নজরুল ইসলাম এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বন্ধু কামাল আহমদের মাধ্যমে বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন। মন্ত্রী থাকাকালে ঠিকাদারদের থেকে কোটি কোটি টাকা কমিশনের বিনিময়ে হাতিয়েছেন বলেও জানা গেছে। তার নিজ নামে, স্ত্রী ও অন্যান্য আত্মীয় স্বজনের নামে-বেনামে সম্পদ অর্জন করেছেন মর্মে গোয়েন্দা তথ্যানুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে সঠিক পরিলক্ষিত হওয়ায় প্রকাশ্য অনুসন্ধানের জন্য কমিশন কর্তৃক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলেও জানায় দুর্নীতিবিরোধী এই সংস্থাটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২৪
এসএমএকে/এএটি