কুমিল্লা: কুমিল্লায় যৌথবাহিনীর হেফাজতে মারা যাওয়া যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামের মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
শনিবার দুপুরে কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সামনে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
তৌহিদ আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের পাঁচথুবী গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে ও ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক।
মানববন্ধনে উপস্থিত এলাকাবাসী জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সেনাবাহিনীর ৩টি গাড়ি ও একটি লাল রঙের গাড়ি এসে ‘অস্ত্র আছে’ এমন অভিযোগে তৌহিদুল ইসলামকে ধরে নিয়ে যায়। পরদিন বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের মাধ্যমে জানতে পেরে স্বজনরা গিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মরদেহ পায়। এ সময় তৌহিদের পুরো শরীরে বেদম আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।
মানববন্ধনে উপস্থিত এলাকাবাসী তৌহিদ হত্যার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
তৌহিদুল ইসলামের মৃত্যুর পর বিবৃতি দিয়েছে অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয়। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে ফেসবুকে পোস্ট করা ওই বিবৃতিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার এ মৃত্যুর ঘটনায় জরুরি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
এরপরই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে যৌথবাহিনীর অভিযানে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলা হতে আটককৃত মো. তৌহিদুর রহমান (৪০), একই দিন বেলা সাড়ে ১২টায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক ঘটনাটি তদন্তে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে, উক্ত সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডারকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়াও, মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনের জন্য একটি উচ্চপদস্থ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সেনা আইন অনুযায়ী যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৫
নিউজ ডেস্ক
