ঢাকা: বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে তালিকাভুক্ত না হলে শিপবিল্ডার্স এবং বড় কোম্পানিগুলোকে সরকারি দরপত্র অংশ গ্রহণ করতে না দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে কেবিনেট বা উপদেষ্টা পরিষদকে চিঠি দেওয়া হবে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের তহবিলে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) থেকে এক কোটি ছয় লাখ টাকার চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এ চেক এম সাখাওয়াত হোসেনের হাতে তুলে দেন।
শ্রম উপদেষ্টা বলেন, আমি দেখলাম মাত্র ৫০০ কোম্পানি এনলিস্টেড (তালিকাভুক্ত)। এ ৫০০ কোম্পানি পয়সা দেয়। বাংলাদেশে ৫০০ কোম্পানি এটা তো বিশ্বাসযোগ্য না, হতেই পারে না। এতোদিন অন্যরা কেন এনলিস্টেড হলো না, আমি জানি না। বাংলাদেশে বিশাল বিশাল কনস্ট্রাকশন কোম্পানি আছে, যারা হাজার কোটি টাকার কাজ করেছে এবং করে যাচ্ছে। তারা কেন নেই, তারা কেন তাদের প্রফিট থেকে কন্ট্রিবিউশন করে না।
তিনি বলেন, এটা আমার কাছে একটু খটকা লাগলো, তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম এদের এর আওতায় আনতে হবে। তাদের শ্রমিকদের ক্ষতি হয় বেশি, কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে মারা যায়, বিকলাঙ্গ হয়। তাদের আমরা ক্ষতিপূরণ দিতে পারি না, কারণ তারা এনলিস্টেড না’।
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমি কেবিনেটকে লিখছি বড় কোম্পানি, শিপবিল্ডার্স যদি এনলিস্টেড না হয়, তাহলে অন্তত সরকারি কোনো দরপত্রে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। সরকার এটার সিদ্ধান্ত নিলে তাই হবে। আর শিপবিল্ডিংয়ে যারা কাজ করছে, তারা যদি না হয় তাহলে আমাদের তরফ থেকে তাদের ফারদার টেন্ডারে (পরবর্তী দরপত্রে) অংশগ্রহণ করতে দেবো না। এটা মোটামুটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটা এখন সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়।
চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান এবং বিএসসিপিএলসির কর্মকর্তা মির্জা কামাল আহম্মদ উপস্থিত ছিলেন। বিএসসিপিএলসির শ্রমিক অংশগ্রহণ ও শ্রমিক কল্যাণ তহবিল প্রতিষ্ঠার পর ২০১৩-২০১৪ অর্থবছর থেকে কোম্পানিটি বিধি মোতাবেক নিয়মিতভাবে মুনাফার একটি অংশ দেশের শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে সরকার থেকে গঠিত শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে জমা দিয়ে আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫
জিসিজি/আরআইএস