অমর একুশে বইমেলা ২০২৫ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে যথাসময়ে বইমেলা অনুষ্ঠানের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে।
রোববার (৫ অক্টোবর) দুপুরে বাংলা একাডেমির সামনে গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্যের উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্যের আহ্বায়ক মুফিজুর রহমান লাল্টু। উদীচীর সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন- উদীচীর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাবিবুল আলম, কবি হাসান ফকরী, মওলানা ভাসানী পরিষদের সদস্য বেলাল চৌধুরী, জাতীয় গণফ্রন্টের ভারপ্রাপ্ত সম্বয়কারী রজত হুদা, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ও সহ-সভাপতি কবি কামরুজ্জামান ভূঁইয়া, গণসংস্কৃতি কেন্দ্রের সভাপতি লেখক জাকির হোসেন, প্রগতি লেখক সংঘের বিমল কান্তি দাস, শহীদ আসাদ পরিষদের আরিফ খান ইউসুফ জাই, সমাজ চিন্তা ফোরামের আহ্বায়ক কামাল হোসেন বাদল, বিবর্তন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুন নূজহাত মনীষা, সংহতি সংস্কৃতি সংসদের সদস্য শিকদার হারুন মাহমুদ প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, লেখক সৃষ্টি ও বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতির বিকাশে একুশে বইমেলা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও আইনশৃঙ্খলার অজুহাতে কোনোক্রমেই একুশে বইমেলা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত যুক্তিযুক্ত নয়। বইমেলার পাঠকের উপস্থিতি কোনোভাবেই নির্বাচনের পরিবেশে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে না। ইতোপূর্বে ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের নজির রয়েছে, সে সময় বইমেলা স্থগিতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে শুধুমাত্র নির্বাচনের দিন বইমেলা বন্ধ রাখতে পারে।
তারা আরও বলেন, যারা বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে পছন্দ করে না, যে শক্তি জনগণের মাঝে সাম্প্রদায়িক ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন মনোজগত সৃষ্টি করতে চায়, যারা স্বাধীনতা ও আবহমান বাংলা সংস্কৃতিবিরোধী, তারাই একুশে বইমেলাকে নস্যাৎ করতে চায়।
গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্যের নেতারা বইমেলা বন্ধের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সব অংশীজনকে সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে ঘোষণা দেন।
সমাবেশ শেষে নেতারা একটি স্মারকলিপি বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজমকে হস্তান্তর করেন।
আরকেআর/আরবি