ঢাকা, রবিবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সত্যিকারের জনগণের পুলিশ হতে চাই: বিএমপি কমিশনার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২০
সত্যিকারের জনগণের পুলিশ হতে চাই: বিএমপি কমিশনার অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান

বরিশাল: বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, ১৪ বছর সময়টা খুব বেশি নয়, আবার কমও নয়। আমরা শৈশব পেরিয়ে কৈশোরে পদার্পণ করেছি।

কৈশোরে যে তেজোদ্দীপ্ত থাকে, যে কর্মস্পৃহা থাকে, যে স্বপ্ন থাকে সেগুলো কিন্তু আমাদের মধ্যে আছে। সাম্প্রতিক সময়ে ও বছরগুলোতে পুলিশের সেবার মান বাড়ানোর কল্পে অনেকগুলো জনসম্পৃক্তমূলক কর্মসূচি সারাদেশের মতো বরিশালেও আমরা নিয়েছি। বিশেষ করে জনগণকে সম্পৃক্ত করার জন্য যে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম সেটাকে নিবিড়ভাবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছি।

সোমবার (২৬ অক্টোবর) বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নগরের বান্দরোডস্থ অফিসার্স মেস প্রাঙ্গণে আয়োজিত কেক কাটা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শাহাবুদ্দিন খান বলেন, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিয়ে যে কমিউনিটি আছে, সমাজ আছে। সেখানে শান্তি শৃঙ্খলা ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার পাশাপাশি আমাদের শিক্ষার্থীরা যাতে সত্যিকারের দেশপ্রেমিক, আইন মান্যকারী এবং মূল্যবোধ সম্পন্ন নাগরিক হয়ে ওঠে সেজন্য বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে একটি কর্মসূচি চলমান আছে। মহামারি করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে সেই কর্মসূচি সীমিত আকারে রয়েছে।  

তিনি বলেন, আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদের সুদূর প্রসারী চিন্তা-ভাবনার মাধ্যমে সর্বোশেষ কমিউনিটি পুলিশিংয়ের পরিপূরক কর্মসূচি হিসেবে বিট পুলিশিং কার্যক্রমকে সারাদেশের মতো বরিশালেও শক্তিশালী করেছি। বরিশাল মেট্রোপলিটনে মোট ৯৭টি বিটের কার্যক্রম আমরা চালু করেছি। যার মধ্যে সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে দু’টি ও প্রতি ইউনিয়নে তিনটি করে বিট চালু করা হয়েছে। এরমধ্যে সিংহভাগ বিটের অফিস চালু করা হয়েছে।

শাহাবুদ্দিন খান বলেন, ওপেন হাউজ ডেসহ বিভিন্ন কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমের সভাগুলোতে পুলিশের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার কল্পে এবং পুলিশের অনিয়ম-ব্যপ্তয় ও অন্য হয়রানিমূলক কাজকে চিরতরে বন্ধ করার জন্য সরাসরি জনগণের অভিযোগ-অনুযোগগুলো শুনি। সেখানে আমাদের সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে সেবা কার্যক্রমগুলো জনগণের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করে। এমনিভাবে নিবিড় তত্ত্বাবধায়ন, মনিটরিং, সুপারভিশনের মাধ্যমে আমাদের প্রতিটি পুলিশ সদস্য যাতে সঠিকভাবে, সঠিক নিয়মে নির্ভেজাল সেবা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে পারে সেই প্রচেষ্টা আমরা নিয়েছি।

তিনি বলেন, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের আজকের দিনের যে গ্রহণযোগ্যতা, সেই বিষয়ে সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমরাও শুনি। তারপরও আজকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বলবো আমরা এতেই সন্তুষ্ট নই। ‘মুজিবর্ষের অঙ্গীকার পুলিশ হবে জনতা’ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আমাদের এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নে আমাদের প্রানান্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা চাই সত্যিকারের জনগণের পুলিশ হতে। একটি সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গঠনে যে ধরনের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং নিরাপদ পরিবেশ দরকার সেটি বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।  

এ সময় অনুষ্ঠানে বিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার প্রলয় চিসিম, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর দফতর) আবু রায়হাম মো. সালেহ, উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম, অপস অ্যান্ড প্রসিকিউশন) মো. জুলফিকার আলী হায়দার, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. মোকতার হোসেন (সেবা), উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) খাইরুল আলম, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. জাকির হোসেন মজুমদার, উপ-পুলিশ কমিশনার (নগর বিশেষ শাখা) মো. জাহাঙ্গীর মল্লিক, উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. মনজুর রহমান, উপ-পুলিশ কমিশনার (সাপ্লাই অ্যান্ড লজিস্টিকস) খান মুহাম্মদ আবু নাসের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২০
এমএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।