ঢাকা, রবিবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কক্সবাজার সৈকতে প্রতিমা বিসর্জনে লাখো ভক্তের ঢল

সুনীল বড়ুয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২০
কক্সবাজার সৈকতে প্রতিমা বিসর্জনে লাখো ভক্তের ঢল প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হচ্ছে

কক্সবাজার: বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বিজয়া দশমীর মহা আনন্দে মেতেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। গভীর শ্রদ্ধায় মা দুর্গাকে বিদায় জানাতে এবারও লাখো ভক্তের কোলাহলে মুখর হয়েছে অনুষ্ঠানস্থল।

তবে করোনা মহামারির কারণে এবারের অনুষ্ঠান হচ্ছে সংক্ষিপ্ত পরিসরে।  

সোমবার (২৬ অক্টোবর) সৈকতের লাবনী পয়েন্টে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার শেষ দিন বিজয়া দশমীতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ।
 
আয়োজকরা জানান, এ বছর রামু ও সদর উপজেলা মিলে অর্ধশতাধিক প্রতিমা সৈকতে বিসর্জন দেওয়া হচ্ছে। অন্য বছর আলোচনা সভাসহ নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে উৎসব সম্পন্ন হলেও এ বছর শুধুমাত্র বিসর্জন মন্ত্র পাঠ করেই প্রতিমা সাগরে ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

এছাড়া একই সময়ে কক্সবাজারের চকরিয়ার মাতামুহুরী, টেকনাফের নাফনদী, উখিয়ার ইনানী সৈকত ও রেজুনদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বিসর্জন অনুষ্ঠানকে ঘিরে দুপুর ২টা থেকে শোভাযাত্রা সহকারে প্রতিমা আসতে শুরু করে। ট্রাকে করে প্রতিমা আসতে আসতে ভরে যায় অনুষ্ঠানস্থল। সৈকতের বালুচরে রাখা দুর্গা প্রতিমা ঘিরে চলে ভক্তদের শেষ আরাধনা। শুধু তাই নয়, নাচে-গানে এক অন্য রকম আনন্দ মুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয় বিশ্বের দীর্ঘতম এ সৈকত। অনুষ্ঠানকে ঘিরে সমাগম ঘটে পর্যটকসহ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লাখো মানুষের।
 
রামু কেন্দ্রীয় কালী মন্দিরের পুরোহিত সুবীর ব্রাহ্মণ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, এবার মা দুর্গা এসেছেন দোলনায় চড়ে। যাচ্ছেন হাতির পিঠে চড়ে। এ কারণে এবার আমরা রোগ-শোকের আশঙ্কা করছি। তাই মা দুর্গার কাছে আমাদের বিশেষ প্রার্থনা ছিল মানুষ যেন বিভিন্ন রোগ-শোক থেকে রক্ষা পায়। মা দুর্গা আমাদের প্রার্থনা শুনেছেন। যে কারণে আবহাওয়া আমাদের অনুকূলেই ছিল।
 
জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা বাংলানিউজকে জানান, এ বছর জেলায় ২৯৯টি মণ্ডপে পূজা উদযাপন হয়েছে। এরমধ্যে ১৪৪টি প্রতিমা পূজা, ১৫৫টি ঘট পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

তিনি বলেন, ২৬ দফা নির্দেশনা মেনে এবার দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ করে করোনা মহামারির কারণে এবার আলোচনা অনুষ্ঠান আমরা করিনি। অনুষ্ঠানস্থল নিরাপদ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিনস্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনি গড়ে তোলা হয়েছে।
 
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রণজিৎ দাশ জানান, বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠান দেশের সবচেয়ে বড় প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছরও এখানে দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ লাখো মানুষের সমাগম হয়েছে।
 
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, জেলার আট উপজেলার ২৯৯টি পূজামণ্ডপে তিনস্তরের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় দুর্গোৎসবের আজ বিজয়া দশমী।

‘সমুদ্র সৈকতে বিজয়া দশমীর প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২০
এসবি/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।