হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় কলেজছাত্র ফয়সলকে দুই ঘণ্টা ধরে মারধরের পর গাছে বেঁধে টানা-হেঁচড়া ও উল্লাসের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার পর নির্যাতনে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২ নভেম্বর) বিকেলে ফয়সলের মা রাবেয়া আক্তার ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামি করে বাহুবল মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। পরে পুলিশ মঈন উদ্দিন এমরান (৫০) ও সালেহ উদ্দিন (৫২) নামে দু’জনকে গ্রেফতার করে। এরা ফয়সলের বান্ধবীর নিকটাত্মীয়।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাহুবল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, গ্রেফতার দুজন কলেজছাত্র ফয়সলকে নির্যাতন করেছেন। বিষয়টি ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে। এদের আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এছাড়া নির্যাতনের শিকার ফয়সল এখনও সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলেও তিনি জানিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, চুনারুঘাট উপজেলার হাঁসারগাঁও গ্রামের আছান উল্লার ছেলে ও সরকারি বৃন্দাবন কলেজে গণিত বিভাগে অনার্সের ছাত্র ফয়সল আহমেদ এবং বাহুবল উপজেলার দ্বিমুড়া গ্রামের প্রবাসী আব্দুল হাইয়ের মেয়ে লিজা আক্তারের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। তারা একই কলেজের শিক্ষার্থী। লিজার সঙ্গে দেখা করতে গত শনিবার (৩১ অক্টোবর) আব্দুল হাইয়ের বাড়ির গেটে গিয়ে ডাকাডাকি করে ফয়সল। তখন মেয়েটির আত্মীয়-স্বজন তাকে আটক করে মারধর করে বেঁধে রাখে।
ফয়সলকে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যায়, ফয়সলের হাত-পা বেঁধে মাটিতে ফেলে টানা-হেঁচড়া করা হচ্ছে। একপর্যায়ে গাছের সঙ্গে বেঁধেও রাখা হয় তাকে। সেসময় ফয়সল আর্তনাদ করতে থাকলে নির্যাতনকারীরা উল্লাসে মেতে ওঠে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২০
আরএ