ঢাকা, শনিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

যাত্রী হয়রানি বন্ধ করতে গিয়ে নৌ-কর্মকর্তা লাঞ্ছিত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০২০
যাত্রী হয়রানি বন্ধ করতে গিয়ে নৌ-কর্মকর্তা লাঞ্ছিত

পটুয়াখালী: পটুয়াখালী নদী বন্দরে লঞ্চ যাত্রী উঠানো নিয়ে হয়রানি বন্ধ করতে গিয়ে লঞ্চ শ্রমিকদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন বন্দর কর্মকর্তা খাজা সাদিকুর রহমান। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছেন ঢাকাগামী দুটি লঞ্চের সত্তার খান ও আওলাদ ৭ লঞ্চের কর্মচারীরা।

সোমবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পটুয়াখালী নদী বন্দরের লঞ্চ টার্মিনালে এ ঘটনা ঘটে।

পটুয়াখালী নদী বন্দর কর্মকর্তা খাজা সাদিকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, পটুয়াখালীর ঘাটে সত্তার খান-১, আওলাদ-৭, সুন্দরবন-১৪, রয়েল ক্রুজ-২ ও জামাল-৫ লঞ্চ ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবে। পাঁচটি লঞ্চের স্টাফরা যাত্রীদের তাদের লঞ্চে উঠানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের প্ররোচনা ও হয়রানি করার কারণে স্টাফদের বাধা দিতে যায়। যাতে করে যাত্রীরা সুশৃঙ্খলভাবে লঞ্চে উঠতে পারে বিষয়টি নিশ্চিত করতে গেলে সত্তার খান-১ ও আওলাদ-৭ এর স্টাফদের তোপের মুখে পড়ি।
 
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি আমি তাৎক্ষণিকভাবে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ও সদর থানার ওসিকে বিষয়টি অবহিত করেছি। সংশ্লিষ্ট লঞ্চের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি আমার প্রধান কার্যালয়কে অবহিত করেছি। এ বিষয়ে প্রধান কার্যালয়কে অবহিত করা হয়েছে এবং অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

লঞ্চ ঘাটে ডিউটিরত একাধিক পুলিশ সদস্য জানান, বিকেলে সত্তার খান-১ ও আওলাদ-৭ এর স্টাফরা তাদের লঞ্চে যাত্রীদের তুলতে হাত ধরে টানাটানি করছিলো। তখন নদী বন্দর কর্মকর্তা খাজা সাদিকুর রহমান স্যার স্টাফদের বাধা দিলে ও নিষেধ করলে তাকে ওই দুই লঞ্চের স্টাফরা ঘিরে ফেলে।

এসময় উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে কক্ষে পৌঁছে দেয়। এ বিষয়ে  সত্তার খান-১ ও আওলাদ-৭ লঞ্চে যোগাযোগ করা হলে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ২৩১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।