ঢাকা: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বিদ্যমান ডিসরাপটিং উদ্ভাবন ইতোমধ্যে শারীরিক, ডিজিটাল ও জৈবিক বিশ্বের মধ্যকার সীমারেখা পাল্টে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ৫-জি ইন্টারনেট, ইন্টারনেট অব থিংস, বিগডেটা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিকস, সাইবার ফিজিক্যাল সিস্টেমস, মেশিন লার্নিং, থ্রিডি প্রিন্টিং, ন্যানো টেকনোলজি ও জেনোটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তির উন্নয়ন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সোপান হিসেবে কাজ করছে।
সোমবার (০২ নভেম্বর) অনলাইনে আইটিইউ রিজিউনাল ডেভলপমেন্ট ফোরাম ফর এশিয়া-প্যাসিফিক রিজন-২০২০ লিডারশিপ ডায়ালগে ডিজিটাল বিকাশ এবং এসডিজির দিকে অগ্রগতি অর্জনে ক্রস-সেক্টরিয়াল সহযোগিতা বিষয়ে বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ভানুয়াতুর প্রধানমন্ত্রীসহ মঙ্গোলিয়া, ভুটান, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের প্রতিনিধিগণ বক্তব্য দেন। আইটিইউ’র এশিয়া প্যাসিফিক রিজনের আঞ্চলিক পরিচালক অসতকো ওকোডা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
করোনা মহামারিকে বিশ্বের বহু দেশের জন্য এসডিজি অর্জনের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ২০৩০ সালে বিশ্ব জনসংখ্যার ৬ শতাংশ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করবে বলে যে ধারণাটি ছিল করোনা তা অনেকটাই পাল্টে দিচ্ছে। এর প্রভাবের কারণে অতিরিক্ত ৭১ মিলিয়ন মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে থাকতে পারে। এদিক থেকে এসডিজি ১ এর অর্জন অবশ্যই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। একইভাবে করোনা জনিত কারণে এসডিজির অভিষ্ট্য লক্ষ্য অর্জন ব্যহত হবে।
তিনি বলেন, করোনার বিরূপ প্রভাব সত্ত্বেও আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে পৃথিবীর অনেক দেশের তুলনায় অনেক ভাল করবে। কোভিড বিপর্যয়ের মধ্যেও বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশের সফলতাই এর বড় প্রমাণ।
গত ১১ বছরে বাংলাদেশের সফলতা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর লাভ করছে। বাংলাদেশ গত দশকে গড়ে অব্যাহতভাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি শতকরা ৭ ভাগেরও বেশি অর্জন করেছে। জিডিপির দিক থেকে বিশ্বের ৪২তম অর্থনৈতিক এবং ক্রয়ক্ষমতার সক্ষমতার দিক থেকে ৩১তম অর্থনৈতিক শক্তিশালী দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের যাত্রা শুরু করার পর থেকে বাংলাদেশ ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ বিশ্বের নবম এবং এশিয়ার পঞ্চম বৃহত্তম মোবাইল বাজার। বর্তমানে দেশে ১৬৬ মিলিয়ন মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী রয়েছে, যা মোট জনসংখ্যার শতকরা ১০১ ভাগ।
দেশে ১০ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জাতীয় ডিজিটাল আর্কিটেকচার বাস্তবায়ন শুরু করেছে এবং ডিজিটাল অবকাঠামো এবং পরিষেবাগুলির মধ্যে সমস্ত সেক্টরকে একীভূত করার জন্য কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২০
এমআইএইচ/এনটি