ঢাকা, শনিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচল পুলিশ নির্ণয় করতে পারে না: ভিপি নুর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০২০
ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচল পুলিশ নির্ণয় করতে পারে না: ভিপি নুর

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদ্য সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা সড়কে চলবে কি, চলবে না তা পুলিশ নির্ণয় করতে পারে না।  

মঙ্গলবার (০৩ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ব্যাটারিচালিত রিকশা অবৈধ ঘোষণা ও সিটি করপোরেশন কর্তৃক উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে ।

নুর বলেন, রিকশা শ্রমিক ভাইয়েরা অনেকের কাছে গিয়েছেন। কেউ তাদের পাশে দাঁড়ায়নি। অনেকেই তাদের কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়ে ধান্দাবাজি করেছে। লালবাগ ট্রাফিক জোন টাকা নিয়েছে তাদের কাছ থেকে। রিসিড দিয়েছে। যদি মোটর চালিত রিকশা অবৈধ হয়, তাহলে কোন প্রক্রিয়ায় টাকা নিলো তারা?

প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমি জানি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে যে বাস রাখা হয়, সেখানের প্রতিটি বাস থেকে প্রতি রাতে একশ থেকে তিনশ টাকা করে নেওয়া হয়। ওখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে তারা নিশ্চয়ই জানেন, ওখানকার রাজনৈতিক ও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা জানেন এই টাকা কোথায় যায় বা কার কার কাছে যায়। পরিসংখ্যান ও বাস্তবতা বলে যে, রাজনৈতিক দলের ধান্দাবাজ নেতা এবং প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তারা শ্রমিকদের রক্ত চুষে এই ধরণের চাঁদাবাজি করছে।

আন্দোলনরত রিকশাচালকদের নুর বলেন, নগরভবনে গিয়ে আপনাদের দাবির কথা মেয়রকে বলেন। আপনারা দুই-এক জন যাবেন না। পাঁচ-ছয় জনের একটি প্রতিনিধিদল বানিয়ে মেয়রের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন। আর বাকি রিকশাচালকরা নগর ভবনের সামনে অবস্থান করে আপনাদের দাবি আদায় করবেন।  

বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব মো. আরিফ হোসেন বলেন, মোটর চালিত রিকশা রাস্তায় চলতে গেলে দু-একটা ধাক্কা লাগতেই পারে। এতে কি সমস্যা? ইউরোপীয় বেশ কয়েকটি দেশে এই মোটর চালিত রিকশা চলে। বাংলাদেশে রিকশা চলতে অসুবিধা কি? 

তিনি বলেন, মোটর চালিত রিকশা নিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে যে, বিদ্যুৎ চুরি ও দুর্ঘটনা হয়। অটোরিকশা দুর্ঘটনা নিয়ে পরিসংখ্যান দেখাতে পারবেন কি পরিমান দুর্ঘটনা হয়েছে?

এ সময় তিনি তিন দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবি তিনটি হলো- ব্যাটারি চালিত সব রিকশাকে সরকারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত করা। সব সিটি করপোরেশন এলাকার মেইন রোডের রিকশার জন্য উভয় পাশে ৪ফিট আলাদা লেন চালু করা। প্রশাসন ও রাজনৈতিক সিন্ডিকেটের সব হয়রানির, বাণিজ্য ও প্রভাব স্থায়ীভাবে বন্ধ করা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২০
এমএমআই/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।