ঢাকা, শুক্রবার, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ৩০ মে ২০২৫, ০২ জিলহজ ১৪৪৬

সারাদেশ

বাগেরহাটে সুন্দরবন প্লাবিত, ভেসে যাওয়া হরিণ উদ্ধার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৪১, মে ২৯, ২০২৫
বাগেরহাটে সুন্দরবন প্লাবিত, ভেসে যাওয়া হরিণ উদ্ধার

বাগেরহাট: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে বাগেরহাটসহ দেশের উপকূলীয় বিভিন্ন জেলায়। এতে বাগেরহাটের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়ে গেছে, দুই-তিন ফুট উচ্চতার জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে দুবলার চর, করমজলসহ সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা।

 

বুধবার (২৮ মে) রাতে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এরপর থেকে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সারাদিন থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে সুন্দরবনের শেলার চর এলাকা থেকে নদীতে ভেসে যাওয়ার সময় একটি হরিণ শাবক উদ্ধার করেছেন বনরক্ষীরা। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হরিণটি আবার বনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
 
সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ও অমাবস্যার কারণে করমজল, দুবলার চর, কটকা, কচিখালী, শেলার চরসহ বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সুন্দরবনে স্বাভাবিকের তুলনায় দুই থেকে তিন ফুট পানি বেড়েছে। তবে করমজল ও অন্য কোনো এলাকার বন্যপ্রাণীর ক্ষতি হয়নি। এছাড়া বনের ভেতরে বিভিন্ন জায়গায় বন্যপ্রাণীর আশ্রয়ের জন্য উঁচু টিলা তৈরি করা আছে। পানি বাড়লে ওই সব টিলায় বন্যপ্রাণী আশ্রয় নিতে পারবে।

অন্যদিকে টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে বাগেরহাট পৌরসভার রাহাতের মোড়, পুরাতন বাজার, কাঁচাবাজার, মোরেলগঞ্জ পৌরসভার প্রধান বাজার, বিভিন্ন সড়ক, মোংলা শহরের বেশিরভাগ এলাকাসহ জেলার নিম্নাঞ্চল।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, জেলার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে দরাটানা নদীর পানি বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁয়েছে এবং পশুর নদীর পানি ১.১৫ মিটার ওপরে রেকর্ড করা হয়েছে। ফলে জোয়ারের সময় স্বাভাবিকের তুলনায় দুই থেকে আড়াই ফুট পানি বেড়েছে।  

উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মো. আল বিরুনী বলেন, নদ-নদীর পানি বাড়লেও, জেলার কোথাও বেড়িবাঁধ ভাঙার খবর পাওয়া যায়নি।

মোংলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটির প্রভাবে বাগেরহাট জেলাজুড়ে থেমে থেমে হালকা ও ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

এদিকে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত চালু থাকলেও মোংলা বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক (বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগ) মো. মাকরুজ্জামান। তিনি বলেন, তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি থাকলেও আবহাওয়া এখন পর্যন্ত অনুকূলে রয়েছে। ফলে মোংলা বন্দরে পণ্য খালাস ও পরিবহন কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই চলছে।

এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।