২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই শেখ হাসিনার জন্মদিনে গতকাল শুভেচ্ছা জানান বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক ও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে শেখ হাসিনার সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল একটি ছবি পোস্ট করে সাকিব লিখেছিলেন, ‘শুভ জন্মদিন, আপা। ’ মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় পোস্টটি। শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।
এই প্রসঙ্গ ঘিরেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। সরাসরি নাম না নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণভাবে তিনি লেখেন, ‘একজনকে পুনর্বাসন না করায় সহস্র গালি দিয়েছেন আপনারা আমাকে। কিন্তু আমি ঠিক ছিলাম। আলোচনার এখানেই সমাপ্তি। ’
নিজের ব্যক্তিগত পেইজ থেকে দেওয়া সেই পোস্ট পরে তিনি ভেরিফায়েড পেইজেও শেয়ার করেন। এর জবাব দেন সাকিব। তিনি আরেকটি পোস্টে লিখেন—
‘যাক, শেষমেষ কেউ একজন স্বীকার করলেন যে তার জন্যই আমার আর বাংলাদেশের জার্সি গায়ে দেওয়া হলো না, বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারলাম না! ফিরবো হয়তো কোনো দিন আপন মাতৃভূমিতে, ভালোবাসি বাংলাদেশ। ’
প্রসঙ্গত, জাতীয় দলে খেলার সময়ই ২০২৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে নাম লেখান সাকিব। যোগ দেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে। ওই দলের হয়ে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদেও প্রবেশ করেন তিনি। কিন্তু একই বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার কার্যত থেমে যায় তার।
অভ্যুত্থানের সময় দেশে ছিলেন না সাকিব। পরে দেশে তার নামে একাধিক মামলা হয়। সেই ঝুঁকির কারণে তিনি আর দেশে ফিরতে পারেননি। বিদায়ী ম্যাচ খেলার অনুমতিও পাননি। বিষয়টি নিয়ে সরকার এবং বিসিবির সঙ্গে তার দীর্ঘ টানাপোড়েন চলে। সমর্থকরা আন্দোলনে নামলেও সাকিবের দেশে ফেরা হয়নি। এখনো তিনি দেশের বাইরে থেকে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলছেন। জাতীয় দলের দরজা কিন্তু এখনও তার জন্য বন্ধ।
তবে বিসিবি নির্বাচন ঘিরে সাকিবের সাম্প্রতিক পোস্ট নতুন করে তাকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এনে দিয়েছে।
এমএইচএম