ক্রিকেট
ভারতের কলকাতা থেকে: বাংলাদেশ দল ঘিরে অনেক আশা ছিল এবারের বিশ্বকাপে। কিন্তু সেটি একদমই পূরণ করতে পারেননি ক্রিকেটাররা। চারদিকে তাই
দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে পাকিস্তানের। এখান থেকে তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর ইতিহাস অহরহ। অন্যদিকে দুর্দান্ত ছন্দে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
দলের গন্তব্য তখন মুম্বাই থেকে কলকাতায়। ক্রিকেটাররা বিমানে থাকতেই জানা গেলো তাতে নেই অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তিনি চলে গেছেন দেশে।
প্রতিটি ম্যাচই এখন বাঁচা-মরার লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তানের জন্য। বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিতের জন্য শেষ চারটি ম্যাচে জয়ের
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ও সাম্প্রতিক ফর্ম ইংল্যান্ডকে এবারের বিশ্বকাপে ফেভারিটদের কাতারেই রেখেছিল। কিন্তু আসরের প্রথম পর্ব না যেতেই
কলকাতায় আসার পর থেকে চারদিকে ঢাক-ঢোলের শব্দ। এখনও পূজোর আমেজ কাটেনি। শহরটাও কেমন ম্যাড়ম্যাড়ে। ইডেন গার্ডেনসে অবশ্য এখনও রং লাগছে।
বাংলাদেশের ক্রিকেট মাঠের চেয়েও বাইরের ইস্যুতে আলোচনায় থাকে প্রায়ই। এবারের বিশ্বকাপে মাঠের পারফরম্যান্স এমনিতেই একদম ভালো যাচ্ছে
টানা তিন ম্যাচ হারের পর বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্নটা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তানের জন্য। বিশেষ করে আফগানিস্তানের
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মুখভর্তি দাড়ি, হেলমেট। তবুও ফাঁক গলে স্পষ্ট তার হাসি। ম্যাচ জয়ের গাণিতিক সম্ভাবনা তখনও শেষ হয়নি, ছয় বলের
পরপর তিন বিশ্বকাপে খেললেও এবারের আসরে দলে রাখা হয়েছিল না তাকে। কিন্তু মাথিশা পাথিরানার চোট কপাল খুলে দিল অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের।
পর্বতসম লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। ড্রেসিংরুমে ফেরার যেন মিছিল শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি এমনই যে,
দক্ষিণ আফ্রিকার ছুড়ে দেওয়া হিমালয়সম লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই জোর ধাক্কা খেয়েছে। প্রথম পাঁচ ওভার কোনোমতে পার করলেও পরের দুই
শরিফুল ইসলাম উইকেটটা নিয়ে ভাসলেন উচ্ছ্বাসে। নেচে আনন্দও করলেন। বাংলাদেশ খুঁজে পেলো আশা। মেহেদী হাসান মিরাজ সেটি বাড়ালেন পরে।
নিজের শেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপটা স্বপ্নের মতো কাটাচ্ছেন কুইন্টন ডি কক। পাঁচ ম্যাচ খেলেই আসরে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরির দেখা পেলেন এই
দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু কুইন্টন ডি কক ও এইডেন মারক্রামের ব্যাটে চড়ে কাঠিয়ে ওঠে কঠিন মুহূর্ত। থিতু