ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১০ আশ্বিন ১৪৩২, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৭

সারাদেশ

খুলনায় শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে উৎসবের আমেজ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:৩৭, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৫
খুলনায় শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে উৎসবের আমেজ বটিয়াঘাটার নারায়ণপুরের মহানামা যজ্ঞাস্থলী গোপাল বাড়ির দুর্গাপূজার মণ্ডপের প্রতিমা/ছবি: বাংলানিউজ

আর মাত্র ৩দিন পরেই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে খুলনায় বইছে এক অন্যরকম আমেজ।

চারদিকে চলছে পূজার প্রস্তুতি।

আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এ বছর খুলনায় মোট ৯৮১টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপন করা হবে। এর মধ্যে শহরে ১২০টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে।

বটিয়াঘাটার নারায়ণপুরের মহানামা যজ্ঞাস্থলী গোপাল বাড়ির দুর্গাপূজার মণ্ডপে আসা প্রদীপ পাল বলেন, নারায়ণপুরের মহানামা যজ্ঞাস্থলী গোপাল বাড়ির দুর্গাপূজার মণ্ডপটি এ এলাকার সবচেয়ে বড় পূজামণ্ডপ। যে কারণে এখানে দর্শনার্থীও বেশি হয়। এখন ভক্তরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন দেবী দুর্গার আগমনের জন্য।

ধর্মীয় এই মহোৎসব দেবী দুর্গার পূজা - আর্চনার মাধ্যমে অশুভ শক্তির বিন্যাস ও শুভ শক্তির জয়ের প্রার্থনা করবেন ভক্তরা।

খুলনা পুলিশ জানায়, মণ্ডপগুলোতে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন করা হবে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব বা ভুল তথ্য ছড়ানোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেএমপি এবং পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সার্বক্ষণিকভাবে খোলা থাকবে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সহকারী উপ-কমিশনার (মিডিয়া) খন্দকার হোসেন আহমেদ বলেন, দুর্গাপূজার আগে কেএমপি পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ দুর্গাপূজা নিশ্চিত করতে কেএমপি পেশাদারিত্বের সঙ্গে সহযোগিতা করবে এবং সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করবে।

তিনি বলেন, দুর্গাপূজার আগে ও পরে প্রতিমা তৈরির সময় এবং প্রতিমা বিসর্জনের সময় সকল ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে জাতীয় জরুরি পরিষেবা ৯৯৯ অথবা সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে অবহিত করার জন্য তিনি অনুরোধ করেন।

র‌্যাব জানিয়েছে, পূজা চলাকালে শহর ও উপজেলা পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সন্দেহজনক ব্যক্তি ও যানবাহনে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি পূজামণ্ডপ ও আশপাশের এলাকায় সাদা পোশাকের গোয়েন্দা সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া সার্বক্ষণিক রোবাষ্ট পেট্রোলিং চালানো হচ্ছে যাতে কোনো ধরনের নাশকতা বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে না পারে।

র‌্যাব আরও জানায়, দুর্গাপূজাকে ঘিরে নিরাপত্তা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন, পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ে কাজ করছে র‌্যাব। পূজা উদযাপনের সময় কোনো সন্দেহজনক ব্যক্তি বা উশৃঙ্খল কার্যকলাপ পরিলক্ষিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ র‌্যাব সদস্যদের অবহিত করার জন্য স্থানীয়দের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

র‌্যাব-৬ অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আমিরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে যাতে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব নির্বিঘ্নে উদযাপিত হয়, সেজন্য র‌্যাব সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। পূজার সময় জনগণ নিশ্চিন্তে উৎসব উদযাপন করতে পারবেন।

এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।