ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আগরতলা

বিজেপি সারাদেশের উন্নয়নে কাজ করছে: জে পি নাড্ডা 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৩
বিজেপি সারাদেশের উন্নয়নে কাজ করছে: জে পি নাড্ডা 

আগরতলা (ত্রিপুরা): বিজেপি সরকার গোটা ভারতের উন্নয়নে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।  

তিনি বলেন, আগে দেশে মাত্র একটি এইমস (লক্ষ্য) ছিল।

এখন তা বাড়িয়ে ২৩টি করা হয়েছে। একইভাবে দেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে আসন সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সেই সঙ্গে ইঞ্জনিয়ারিং কলেজের সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হয়েছে।  

২০২৩ সালের ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপির উদ্যোগে জনবিশ্বাস যাত্রার আয়োজন করা হয়। গত ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই যাত্রার সমাপ্তি হয় বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি)।  

এ উপলক্ষ্যে আগরতলার উমাকান্ত একাডেমি মাঠে আয়োজিত এক সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন জে পি নাড্ডা।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা, প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচাৰ্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা প্রমুখ।

সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকারের কাজের জন্য ত্রিপুরা দেশের মধ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। রাজ্যের আত্মনির্ভরতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যুব প্রজন্ম বড় ভূমিকা নিচ্ছে।

জে পি নাড্ডা আরও বলেন, এক সময় ত্রিপুরায় অভাব ছিল নিত্য সঙ্গী, কিন্তু এখন এই রাজ্য দেশের সমৃদ্ধিতে সহায়তা করছে। তাই রাজ্যবাসী বিজেপি সরকারকে বার বার ক্ষমতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

দেশে এখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী দেশের মধ্যে অন্যতম। এখন দেশের গ্রামীণ এলাকায়ও অপটিক্যাল ফাইবার কেবল সংযোগ দেওয়া হয়েছে। সারা বিশ্বের মধ্যে ভারত মোবাইল উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে পৌঁছে গেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য  বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি যখন চরম আকার ধারণ করে, তখন প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে ভারতের অর্থনীতি স্বাভাবিক ছিল।

তিনি এসময় দেশের সাবেক সরকারের সঙ্গে বর্তমান বিজেপি সরকারের তুলনা করে বলেন, আগে যেখানে প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনায় এক একটি গ্রামে মাত্র এক থেকে দুটি ঘর দেওয়া হতো, এখন সেখানে একটি গ্রামে শত শত মানুষ সরকারি ঘর পাচ্ছে। একই ভাবে কৃষকসহ অন্যান্য শ্রেণি-পেশার মানুষও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।

জনসভা শেষে তিনি চলে যান আগরতলার পার্শ্ববর্তী লঙ্কামুড়া সীমান্ত এলাকায়। সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার কাছে গিয়ে ঘুরে দেখেন নাড্ডা। এ এলাকায় বসবাসরত অসাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। স্থানীয় এলাকার বাসিন্দাদের কি কি সমস্যা রয়েছে এবং বর্তমান সরকার তাদের সমস্যা সমাধানে কি কি কাজ করেছে, তা তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জেনে নেন।  

এসময় সীমান্তবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে তিনি বলেন, বিজেপি সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে সমাজের একেবারে অন্তিম ব্যক্তির কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া। তাই সীমান্তবাসী যেন কখনো মনে না করেন যে, তাদের জন্য কাজ করার কেউ নেই। বিজেপি সরকার তাদের কাছে সরকারি সব পরিষেবা পৌঁছে দিচ্ছে।

এরপর তিনি স্থানীয় এলাকার এক কর্মকর্তার বাড়িতে বৈঠক করেন। দীর্ঘ সময় ধরে চলে এ বৈঠক। বৈঠক শেষে তিনি চলে যান বিমানবন্দরে, সেখান থেকে বিশেষ প্লেনে চড়ে রাতেই দিল্লির উদ্দেশে পাড়ি দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৩
এসসিএন/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।