ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৪ পৌষ ১৪৩১, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আগরতলা

হতাশা থেকে বিজেপি আক্রমণ চালাচ্ছে: মানিক সরকার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৭ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২৩
হতাশা থেকে বিজেপি আক্রমণ চালাচ্ছে: মানিক সরকার মানিক সরকার

আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরায় কম ভোট পাওয়ার হতাশা থেকে বিজেপি আক্রমণ চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এবং সিপিআইএম দলের পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার।

ত্রিপুরা রাজ্যের ফলাফল নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে সোমবার (৬ মার্চ) এ কথা বলেন তিনি।

আগরতলা সিপিআইএম দলের ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির কার্যালয়ে বসে এই অভিমত ব্যক্ত করেন মানিক সরকার।  

তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দল বিজেপি কম ভোট পেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয়েছে। তাদের আগে ছিল ৪৪টি আসন এখন পেয়েছে ৩৩টি আসন। আগে তাদের ভোটের হার ছিল প্রায় ৫১ শতাংশ এখন পেয়েছে ৪০ শতাংশ। এ থেকে প্রমাণিত হয় ত্রিপুরা রাজ্যের ৬০ শতাংশ মানুষ বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। কারণ তারা এই সরকারের উপর বিশ্বাস এবং আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।  

তিনি আরও বলেন, বিজেপির প্রতি রাজ্যের মানুষের বিশ্বাস এবং আস্থা হারানোর অন্যতম কারণ হচ্ছে তাদের কার্যকলাপ ছিল শূন্য। অর্থনৈতিক দিক থেকেও সাধারণ মানুষের জীবনে দুর্বিষহ অবস্থা নেমে এসেছিল। সন্ত্রাস ছিল এই সময়ের সবচেয়ে বড় বিষয়। তাই এই পরিস্থিতিতে মানুষ চাইছিলেন বিজেপি জাতে আর সরকার না গড়তে পারে। বিরোধীদের ভোট ভাগাভাগির কারণে বিজেপি আবার ক্ষমতায় ফিরতে পেরেছে বলেও দাবি করেন তিনি।  

মানিক সরকার দাবি করেন, অনেক রাজনৈতিক দল বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বললেও তারা বিজেপি দলের হয়ে কাজ করেছে, এর ফলে বিজেপির সুবিধা হয়েছে।  

তিনি বলেন, ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর রাজ্যজুড়ে ব্যাপক সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে। এসব তাণ্ডবলীলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বামফ্রন্টের কর্মী-সমর্থকরা। কারণ তারা সাধারণ মানুষের হয়ে কথাবার্তা বলেছিলেন, তাই তাদের উপর আক্রমণ নেমে এসেছে। তবে এসব করে বামেদের দমিয়ে রাখা যাবে না বলে মানিক সরকার বলেন।

পাশাপাশি রাজ্যের সাধারণ মানুষের প্রতি মানিক সরকারের আহ্বান, তারা যেন কোনোভাবেই প্ররোচনার ফাঁদে পা না দেন।  

তিনি বলেন, শাসক দল ভেবেছিল তারা আরও বেশি আসন পাবে। কিন্তু ফল প্রকাশের পর যখন দেখতে পেল যে তাদের আসন এবং ভোটের শতকরা হার কমে গিয়েছে তাই তারা হতাশা থেকে আক্রমণ করছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২৩
এসসিএন/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।