আগরতলা, (ত্রিপুরা): এককালীন ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক গোটা পৃথিবীতে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর থেকে মুক্তি পেতে চায় সবাই।
‘প্লাস্টিকমুক্ত ত্রিপুরা অভিযান’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা।
এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, আগরতলা পৌর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, বিজ্ঞান পরিবেশ ও প্রযুক্তি দপ্তরের সচিব কে এস শেঠি প্রমুখ।
আগরতলা টাউন হলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের ছাত্রছাত্রীসহ বিভিন্ন সেলফ হেল্প গ্রুপের সদস্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা বলেন, এ ধরনের অভিযান শুধু সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এ কর্মসূচিতে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে অংশ নিতে হবে। তবেই এ মহৎ কাজকে সফল করা সম্ভব হবে। প্লাস্টিকের ব্যবহারের ফলে শুধু পরিবেশেরই ক্ষতি হচ্ছে এমন নয়, প্লাস্টিকের কারণে আমাদের শরীরেও নানা ধরনের রোগ এবং শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের এ ব্যবহারের আগে আরও বেশি করে চিন্তাভাবনা করতে হবে এবং এগুলো ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। প্লাস্টিকের পরিবর্তে বিকল্প আর করতে হবে। সেসঙ্গে আবর্জনা ফেলার বিষয়ে ও সাধারণ মানুষদের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। তাই সমাজের সচেতন অংশের মানুষদের এ বিষয়ে আরও সতর্ক হতে হবে। যদি কেউ রাস্তা-ঘাটে আবর্জনা ফেলে তাহলে প্রতিবাদ করতে হবে। নেশামুক্ত রাজ্য গড়ার লক্ষ্যে যেভাবে অভিযান শুরু করেছে, ঠিক সেভাবে প্লাস্টিকমুক্ত রাজ্য করারও অভিযান শুরু হয়েছে। এ অভিযানে সাধারণ মানুষের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান।
প্লাস্টিকের ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতনতাবিষয়ক একটি প্রদর্শনীর এবং প্লাস্টিক সচেতনতাবিষয়ক একটি পুস্তিকার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে গাছ-পালা দিয়ে যেসব উপাদান এখন ধীরে ধীরে চালু হচ্ছে এগুলোর একটি প্রদর্শনী করা হয়েছিল অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে। মূলত বিভিন্ন সেলফ হেল্প গ্রুপের সদস্যরা এ সামগ্রী তৈরি করে থাকেন। এ প্রদর্শনীতেও ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রীসহ উপস্থিত অন্যান্য অতিথিরা। এ অভিযানের উদ্যোক্তা রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২৩
এসসিএন/এএটি