ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

পৌষ পার্বণে মেতেছে আগরতলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৭
পৌষ পার্বণে মেতেছে আগরতলা পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে তিলুয়া-বাতাসার পসরা

আগরতলা: বাঙালির বারো মাসের তের পার্বণের অন্যতম একটি হল পৌষ পার্বণ বা মকর সংক্রান্তি।

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) মকর সংক্রান্তি, উৎসবকে সামনে রেখে পিঠেপুলির উৎসব ও নানা খাবারে মেতে ওঠেছেন আগরতলাবাসী।

অগ্রহায়ণের নতুন ধানের চাল দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে নানা স্বাদের ও নানা পদের পিঠা ও পায়েস।


 
তাই এখন এরই প্রস্তুতি চলছে প্রতিটি ঘরে ঘরে। এদিন আগরতলার শহর সংলগ্ন আমতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেলো নারীরা বাড়ির উঠোন মাটি দিয়ে লেপে তাতে চালের গুড়ি দিয়ে আলপনা তৈরি করছেন। আবার কেউ কেউ পিঠে তৈরির জন্য চালের গুড়ি তৈরি করছেন।
পৌষ সংক্রান্তিতে আলপনা আঁকছেন নারীরা মকর সংক্রান্তির আগের রাতে অর্থাৎ শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) ছেলে-মেয়েরা পিকনিকে মাতেন। তারা বাড়ির বাইরে ধানের নেরা (ধান কেটে নেওয়ার গাছের নিচের অংশ) দিয়ে ঘর তৈরি করে, যাকে বলে বুড়ির ঘর। এই পিকনিকে শুধু ছোটরাই নয় সামিল হন বড়রাও। মাছ, মাংস দিয়ে হয় পিকনিক।

এই ঘরে রাতে পিকনিক করে ও সংক্রান্তির দিন ভোর রাতে ছেলে মেয়েরা স্নান করে এই ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে এর তাপ দিয়ে শরীর উষ্ণ করে। তাই এদিন তাদেরকেও দেখা গেল বুড়ির ঘর তৈরি করতে।

এদিকে আগরতলার বিভিন্ন বাজারে ব্যবসায়ীরা বাতাসা, তিলুয়া, নলেন গুড়, খেজুরের রসের লালি, আখের গুড় সহ পিঠেপুলি তৈরির নানান সামগ্রী নিয়ে বসেছেন দোকানিরা। আবার পিকনিকের জন্য এদিন মাছ মাংসের বাজারেও উপচে পড়া ভিড়।
পৌষ সংক্রান্তিতে বুড়ির ঘর বানানো হয়েছে

ব্যস্ততার ক‍ারণে ও সময়ের অভাবে অনেকেই বাড়িতে পিঠেপুলি তৈরি করতে পারেন না তাঁদেরও চিন্তা নেই, রেডিমেড পিঠেপুলিও এখন হাতের কাছে পাওয়া যাচ্ছে। ফেরিওয়ালারা এখন বাড়িতে পিঠে তৈরি করে শহরের পাড়ায় পাড়ায় ফেরি করে বিক্রি করছেন এই পিঠে। পাটিসাপ্টা, মালপুয়া, খাজা, নিমকি আরও কতকি।

প্রতি পিস ৫ থেকে ১০ রুপি করে বিক্রি করছেন। মানুষও ঝটপট কিনে নিচ্ছেন। সব মিলিয়ে উৎসব মুখর বাঙালি একেবারে প্রস্তুত ভোজের উৎসবে সামিল হতে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৭
এসসিএন/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।