ব্রকলি হৃদরোগ, বহুমূত্র এমনকি ক্যান্সার প্রতিরোধেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে বলে গবেষণায় দেখা যায়। ব্রকলি’র জন্মস্থান ইতালি।
শীতকালীন এ সবজি খুব দ্রুত বাড়ে। ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে একটি ব্রকলি চারা খাওয়ার উপযোগী হয়। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ব্রকলি চাষ হলেও ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষের কাছে এর পরিচিতি খুব বেশি দিনের নয়। ইদানিং রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে চাষিরা অল্প-স্বল্প ব্রকলি চাষ করছেন।
ত্রিপুরার বিভিন্ন বাজারে শীতকালে এখন এই সবজি পরিমাণে কম হলেও দেখা যাচ্ছে। তবে এ সবজি নিয়ে মানুষের মধ্যে এখনও অনেক ভ্রান্ত ধারণা আছে। না খেয়েই অনেকেই বলেন, ‘ফুলকপির তুলনায় একটু বেশি শক্ত এবং সামান্য গন্ধ রয়েছে’। তবে যারা নিয়মিত খান তারা জানান, এসব ভ্রান্ত ধারণা।
ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহীজলা জেলার সোনামুড়া মহকুমার ইন্দ্রনগরের মুস্তাফা কাজি গত তিনবছর ধরে ব্রকলি চাষ করে আসছেন।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, নিজের চাষ করা ব্রকলি তিনি নিজেই বিক্রি করেন স্থানীয় মেলাঘর বাজারে। এ সবজি চাষ করে লাভ ভালোই পাওয়া যায়। কিন্তু সাধারণ মানুষ এখনও ব্রকলি পুরোদমে খাওয়া শুরু করেনি। তাই এর চাহিদা তুলনামূলকভাবে কম। প্রতি ব্রকলি ২০ রুপি করে বিক্রি করছেন তিনি। এতে তার প্রায় ১০ থেকে ১২ রুপি করে লাভ হচ্ছে।
এ বছর তিনি প্রায় ৬শ' টি ব্রকলির চারা লাগিয়ে ছিলেন। এর মধ্যে তিনি ২৫০টি ব্রকলি ইতোমধ্য বিক্রি করে দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
ব্রকলি চাষের ক্ষেত্রে এখন সরকারের কৃষি দফতর কোনো ধরনের সহায়তা করছে না। সার ও কীটনাশক কিনতে হচ্ছে খোলাবাজার থেকে। সরকারি সহায়তা পেলে চাষিরা আরও লাভবান হতেন বলেও মত ব্যক্ত করেন মুস্তাফা কাজি।
পুষ্টিকর এ সবজির বিষয়ে ভ্রান্ত ধারণা দূর করতে সরকারকে প্রয়োজনীয় ভূমিকা নিতে হবে। ইন্দ্রনগরের মুস্তাফা কাজির মত এই এলাকার আরও বেশ কয়েক জন চাষি ব্রকলি চাষ করছেন। তেমনি রাজ্যের পশ্চিম জেলার লঙ্কামুড়া এলাকাতেও চাষ হচ্ছে ব্রকলি।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৭
এসসিএন/টিআই