ভারত সরকারের অধীনস্থ রাইটস নামক একটি সংস্থা গোমতী ও হাওড়া নদীর নাব্যতা বৃদ্ধির কাজের ডিপিআর তৈরি করে তা জাহাজ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। জাহাজ মন্ত্রণালয় এই ডিপিআর অনুসারে গোমতী নদীর উন্নয়নের জন্য ১২ কোটি ৫৮ লাখ ৭৮ হাজার ৩শ’ রুপি এবং হাওড়া নদীর উন্নয়নের জন্য ১১ কোটি ১৯ লাখ ১৫ হাজার রুপি অনুমোদন করেছে।
ত্রিপুরা সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, প্রথম পর্যায়ে গোমতী নদীর উন্নয়নের কাজ করা হবে। সিপাহীজলা জেলার সোনামুড়া এলাকায় নদী বন্দর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্প রূপায়নের জন্য ১শ’ শতাংশ অর্থ দেবে ভারত সরকার। প্রথম পর্যায়ে ২ কোটি রুপি ত্রিপুরা সরকারকে দেওয়া হয়েছে।
ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের মধ্যে আন্ত:দেশীয় পানি পরিবহন ব্যবস্থাকে ভাবনায় রেখে ত্রিপুরার সিপাহীজলা জেলার শ্রীমন্তপুরে স্থলবন্দরটি এমন স্থানে স্থাপন করা হয়েছে যার একদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে সংযোগকারী রাস্তা ও অন্যদিকে গোমতী নদী। যাতে উভয় দিকের পরিবাহিত পণ্যের উপর নজর দেওয়া যায়। এই স্থল বন্দরটি বিশাল জায়গার উপর গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে স্থলপথে আনা পণ্য যেমন রাখতে কোন সমস্যা না হয় তেমনি নদী দিয়ে আসা পণ্যও রাখা যায়।
সড়ক পথে বাংলাদেশের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রপ্তানির পাশপাশি নদী পথে আমদানি-রপ্তানি চালু করা গেলে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে, এতে যেমন অনেক কম সময়ে পণ্য গন্তব্যে পৌঁছুবে, তেমনি সড়ক পথের তুলনায় খরচও কমবে।
নদী পথে বাংলাদেশের সঙ্গে পণ্য পরিবহন শুরু হলে উভয়দেশের সম্পর্ক আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে মত ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩২ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০১৭
এসসিএন/ জেডএম