ত্রিপুরা সরকারের পরিবহন দফতর সূত্রে জানা যায়, রাস্তা নির্মাণের জমি সমীক্ষার জন্য আসাম রাজ্যের গৌহাটির মালিগাঁও উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের নির্মাণ শাখার জেনারেল ম্যানেজার ৪২ লাখ ৬০ হাজার রুপি অনুমোদন দিয়েছেন।
বর্তমানে আসামের চোরাইবাড়ী, ধর্মনগর, কুমারঘাট, আমবাসা, তেলিয়ামুড়া, আগরতলা হয়ে উদয়পুর পর্যন্ত রেল যোগাযোগ রয়েছে।
এদিকে আগরতলা থেকে বাংলাদেশের আখাউড়ার মধ্যে সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপনের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে।
সূত্র আরও জানায়, আগরতলা-আখাউড়া রেলসংযোগ হয়ে গেলে পরবর্তী সময় সাব্রুম থেকে বাংলাদেশের ফেনীর মধ্যে সরাসরি রেল যোগাযোগের পরিকল্পনা রয়েছে। কারণ সাব্রুম থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরের দূরত্ব মাত্র ৭০ কি.মি.।
এ রেলপথ স্থাপন হলে সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করে ট্রেনের মাধ্যমে পণ্য সরাসরি ত্রিপুরা, উত্তরপূর্ব ভারতসহ নেপাল, ভুটানে পাঠানো সম্ভব হবে। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত খুলে যাবে বলে মনে করেন আগরতলার আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা।
আর এতে সময় ও খরচ উভয়ই অনেকটা কমবে বলেও জানান তারা। এক্ষেত্রে সহায়ক হবে প্রস্তাবিত বিকল্প এ রেলপথ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০১ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৭
এসসিএন/জিপি/জেডএস