ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

আগরতলায় চলছে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৭
আগরতলায় চলছে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব  উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের অতিথিরা

আগরতলা: ১০ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার (মুজিবনগর সরকার) ঘোষণা দিবস উদ্‌যাপিত হচ্ছে আগরতলায়। এ উপলক্ষে দু’দিনব্যাপী আলোচনা সভা ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব চলছে আগরতলা টাউন হলে।

বাংলাদেশ অ্যাসিসট্যান্ট হাইকমিশন, ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের আগরতলা চ্যাপ্টার ও আগরতলা প্রেসক্লাবের যৌথ উদ্যোগে এবং শ্রুতিঘর বাংলাদেশ ও ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ আসাম চ্যাপ্টারের সহযোগিতায় এ উৎসব শুরু হয়েছে সোমবার (১০ এপ্রিল)। উদ্বোধন করেন চলচ্চিত্রশিল্পী বাদশা মৈত্র।

 

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) উৎসবের দ্বিতীয় দিন। দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করছেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ নেতা পঙ্কজ দেবনাথ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক এ এস এন সামছুল আরিফিন, সংসদ সদস্য র আ ম ওবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী, চিত্রপরিচালক নাসির উদ্দীন ইউসুফ, নাট্যব্যক্তিত্ব মঞ্চকুসুম শিমুল ইউসুফ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ, আগরতলার বাংলাদেশ অ্যাসিসট্যান্ট হাইকমিশনের প্রথম সচিব মোহম্মদ মনিরুজ্জামান, ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের ত্রিপুরা চ্যাপ্টারের আহ্বায়ক গৌতম দাস প্রমুখ।
 
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের ত্রিপুরা চ্যাপ্টারের সদস্য অধ্যাপক মিহির কান্তি দেব।  

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী গণহত্যা শুরুর প্রাক্কালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে। এর আগ মুহূর্তে ২৫ মার্চ দিবাগত রাত অর্থাৎ ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু ইপিআরের একটি ছোট ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এরপর ১০ এপ্রিল আগরতলা সার্কিট হাউসে স্বাধীন বাংলাদেশের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা বৈঠক করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করে প্রথম সরকার গঠন করেন। তবে এ সরকারের ঘোষণা হয় পরে মেহেরপুরের আমবাগানে (মুজিবনগর)।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরাবাসী, ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবদানের কথা স্মরণ করেন বক্তারা।

তারা বলেন, আগরতলা মুক্তিযুদ্ধের সময় শুধু বাংলাদেশের মানুষদের আশ্রয়ই দেয়নি,  হাসপাতালে আহত মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যদের চিকিৎসারও ব্যবস্থা করেছিলো।

আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে বলেও মন্তব্য করেন বক্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৭
এসসিএন/জেডএম/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।