পুরাতন বছরের হিসেব নিকেশ শেষ করে নতুন বছরে নতুন উদ্যমে ব্যবসা করার রীতি বাংলায় চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। দোকানে বছরভর আটকে থাকা সামগ্রী চৈত্র মাসের শেষ দিকে ব্যবসায়ীরা অপেক্ষাকৃত কম দামে বিক্রি করেন।
প্রতি বছরের মতো এবারও আগরতলায় বসেছে চৈত্র মেলা। আগরতলা জুড়ে চলছে ছাড়ে পণ্য বিক্রি। মূল মেলা হচ্ছে শকুন্তলা রোডে। এ রাস্তা দিয়ে এখন যান চলাচল বন্ধ।
তবে শুধু আগরতলাই নয় রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ ছুটে এসেছেন এ মেলায়।
চৈত্র মেলার বাজারে নতুন বছরের পঞ্জিকা থেকে শুরু করে, জামাকাপড়, জুতা, থালাবাসন, প্লাস্টিকের আসবাব থেকে শুরু করে রয়েছে প্রায় সব ধরনের জিনিস। সেইসঙ্গে সাজসজ্জার সামগ্রী তো আছেই। ক্রেতা-বিক্রেতার হৈ হুল্লোড়ে সরগরম গোটা শকুন্তলা চত্বর।
চৈত্র মাসের রিডাকশনে বিক্রির কথা মাথায় রেখে বহু ব্যবসায়ী অন্য রাজ্য থেকে পণ্য কিনে আনেন বলে বাংলানিউজকে জানান মেলায় আসা দোকানি বিজন বণিক।
তিনি জানান, অনেক দোকানদার সারা বছর অন্য পেশায় যুক্ত থাকেন। শুধু চৈত্র মাসের ১৫-২০ দিন তারা ব্যবসা করেন। এ সময় ছাড়ে বিক্রি হলেও লাভ হয় প্রচুর।
মেলার হাটে ক্রেতাদের ছেড়ে অন্য কারো সঙ্গে কথা বলার ফুরসত নেই বিক্রেতাদের। ভিড় ঠেলে বিকিকিনির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতেই এক বিক্রেতা বললেন ‘বুঝতেই তো পারছেন দাদা এই কটা দিনই আমাদের লাইগ্যা আইছে, এখন কাস্টমাররে ছাইড়া কথা কওনের টাইম নাই’।
মেলায় আসা ক্রেতারা জানালেন, এক জায়গায় সব কিছু পাওয়া যায়। তাই কেনাকাটা করতে সুবিধে। সিপাহীজলা জেলার সেকেরকোর্ট এলাকা থেকে এসেছেন অনিমা বিশ্বাস। তিনি বাংলানিউজকে জানান, সারাবছর ধরে এই সময়ের জন্য অপেক্ষা করেন। পরিবারের সদস্যদের জন্য জামাকাপড়সহ নানা সামগ্রী কিনেছেন। এখানে বছরের অন্য সময়ের তুলনায় দাম অনেক কম বলে জানালেন তিনি।
সকাল থেকে মেলা শুরু হলেও বিকেল থেকে মানুষের ভিড় বেশি। আগরতলার পাশাপাশি রাজ্যের প্রতিটি মহকুমাতেও ছোট-বড় রিডাকশনের বাজার বসেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৭
এসসিএন/আরআর/আরআই