তাই পয়লা বৈশাখে সাত সকালেই থলি হাতে বাজারমুখো হন বাড়ির গৃহকর্তা। আর যাদের সাধ্য আছে, তাদের তো নববর্ষে মাছের রাজা ইলিশ চাইই চাই।
বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশের চাহিদা ত্রিপুরা-পশ্চিমবঙ্গের বাঙালির কাছেও আকাশচুম্বী। এদিকে এ সময়টাতে বাংলাদেশে ইলিশ আহরণ ও বিক্রি-রফতানি বন্ধ।
তাই অন্য জায়গার ইলিশ নিয়ে এসে পদ্মার বলে বিক্রি করছেন আগরতলার বিক্রেতারা।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) ভারতের বাঙালিরা উদ্যাপন করছেন বাংলা নববর্ষ।
আগরতলার বড় তিন মাছের বাজার বটতলা, মহারাজগঞ্জ ও লেক চৌমুহনীতে গিয়ে দেখা গেছে, অন্য সকল মাছের সঙ্গে ছোট-বড় নানা সাইজের ইলিশ মাছ রয়েছে। ইলিশের আকার অনুসারে দামও ভিন্ন ভিন্ন। প্রতি কেজি ইলিশ মাছ যথাক্রমে আটশ’, এক হাজার দুইশ’ ও দেড় হাজার রুপি দামে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা ‘পদ্মার ইলিশ’ বলে এসব ইলিশ কিনতে ক্রেতাদের ডাকছেন। অনেক ক্রেতা নিজের পছন্দের মাছটি পাচ্ছেন মনে করে তা কিনেও নিচ্ছেন।
‘বাংলাদেশে তো এখন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ। এরপরও আগরতলায় এতো পদ্মার ইলিশ এলো কি করে?’- বটতলা বাজারের পাইকারি আড়তে গিয়ে এ প্রশ্ন করতে আড়তদার অকপটে স্বীকার করলেন যে, এগুলোর একটিও পদ্মার নয়! এবারের সব ইলিশ এসেছে দীঘা ও মুম্বাইয়ের আরব সাগর থেকে।
‘মানুষ পদ্মার ইলিশের নামে পাগল। এর লাইগ্যা ইতান কইয়া বেচতাছেন ব্যবসায়ীরা’ বলেও জানান আড়তদার।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৭
এসসিএন/এএসআর