আগরতলায় বাংলাদেশ অ্যাসিসট্যান্ট হাইকমিশন অফিসে নিজকক্ষে বাংলানিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় বিষয়টির উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফার্মেসি বিভাগের এই শিক্ষার্থী নিজের জগৎ ছেড়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন জগতে এলেও নিজেকে বেশ মানিয়ে নিয়েছেন।
নিজে ঘুরতে ভালোবাসেন। তাই দেশের ট্যুরিজম বিকাশে তার রয়েছে বিশেষ আগ্রহ। ত্রিপুরার মতো বন্ধুরাজ্যে দায়িত্ব পেয়ে চেষ্টা করছেন কীভাবে মানুষকে বেশি বেশি সেবা দেওয়া যায়।
বলেন, আগরতলাবাসীকে আমরা এখানে ওয়ানস্টপ সার্ভিস দেই। আর যদি তা না দিতে পারি, তাহলে পরের দিন ব্যবস্থা হয়ে যায়। চেষ্টা করি যারা আসেন তারা যেন সহজে ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে যেতে পারে। এতে তাদের পাশাপাশি আমরা সুবিধা পাবো।
ত্রিপুরার অধিকাংশ মানুষ পূর্ববঙ্গের বাংলা ভাষায় কথা বলেন। যা তাদের আপন করে নিতে সাহায্য করে। এখানে প্রায় সবার আত্মীয়-স্বজন বাংলাদেশের কোথাও না কোথাও আছে। না হলে তাদের জন্ম বাংলাদেশে। বিষয়গুলো দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে সবসময় পাথেয় বলে মনে করেন তিনি।
আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ আগরতলা আসে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আখাউড়ায় বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনের অবস্থা ভালো নয় বলেই মত দেন অধিকাংশ ভারতীয়। বাংলাদেশ থেকে যখন কেউ ভারতের ইমিগ্রেশনে আসেন কিংবা এখান থেকে বাংলাদেশে যান তারা একটু বিস্ময় প্রকাশ করেন। এ ধরনের অভিযোগ আমাদের কানে আসে। এটার উন্নয়ন কাজ হবে শুনতে পেলেও হচ্ছে এমন খবর নেই।
ট্রেনের টিকিট প্রসঙ্গে অ্যাসিসট্যান্ট হাইকমিশনার বলেন, যদি অনলাইনে যেকোনো জায়গা থেকে বাংলাদেশ রেলের টিকিট কাটতে পারে তাহলে বিদেশি পর্যটক বা প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য এটা অনেক সুবধিার হবে।
পর্যটনপিপাসু এই কর্মকর্তা বলেন, আমাদের দেশকে যদি বিশেষ করে সেভেন সিস্টারের মানুষের কাছে তুলে ধরতে পারি তাহলে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত, সুন্দরবন, কুয়াকাটা, বান্দরবান প্রভৃতি দর্শনীয় জায়গাগুলো আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। এছাড়া অনেক তীর্থ স্থান রয়েছে যেগুলোতে ভারতের ট্যুরিস্টরা যেতে পারে।
তিনি বলেন, ঢাকা থেকে ত্রিপুরায় আসা যেমন সহজ, খরচ কম, সময় কম লাগে তেমনি ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে যাওয়া ততটাই সহজ। কাছাকাছি কোনো স্থানে সমুদ্র দেখতে যেতে চাইলে ত্রিপুরাবাসীর জন্য কক্সবাজারই সবচেয়ে কাছে এবং খরচ কম।
ত্রিপুরাবাসীর বাংলাদেশের ভিসাপ্রাপ্তি নিয়ে তার বক্তব্য,ভিসার ক্ষেত্রে মানুষের চাহিদার চেয়ে বেশি দিনের ভিসা ইস্যু করে দেই আমরা। সিনিয়র সিটিজেনদের দীর্ঘমেয়াদী ভিসা দেওয়া হয়। কোনো হয়রানি নেই, দালাল নেই। গতবছর গড়ে প্রতিদিন আমরা ৭০-৮০টি ভিসা ইস্যু করেছি।
সহকারী হাই কমিশন অফিসটাকে সরকার ডেপুটি হাই কমিশন করার চিন্তা-ভাবনা করছে জানিয়ে সাখাওয়াৎ বলেন, সরকার নীতিগতভাবে সিদ্ধান্তও নিয়েছে। এটা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। ত্রিপুরাবাসীর সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা অন্যরকম। সেই সম্পর্ক এখন আরও জোরদার হচ্ছে।
** জঙ্গল থেকে ‘জৈবগ্রাম’ ত্রিপুরার মেঘলীপাড়া
** ট্যুরিস্টদের কাছে আকর্ষণীয় করা হচ্ছে আখাউড়া বর্ডার
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৭
এএ/