তবে এখন বিভিন্ন সংগঠন গোটা বৈশাখ মাস জুড়ে গড়িয়া উৎসব পালন করে থাকে। রোববার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় "ত্রিপুরা উপজাতি কর্মচারী কমিটি"র উদ্যোগে উদযাপিত হল 'গড়িয়া সংস্কৃতিক উৎসব ২০১৭'।
আগরতলা টাউন হলে আয়োজিত এ উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ত্রিপুরা সরকারের বন ও গ্রাম ঊন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী নরেশ জমাতিয়া, আগরতলা পুরপুর নিগমের মেয়র ড. প্রফুল্লজীৎ সিনহা সহ উৎসবের আয়োজক ত্রিপুরা উপজাতি কর্মচারী কমিটির কর্মকর্তারা।
প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মন্ত্রী নরেশ জমাতিয়া।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী নরেশ জমাতিয়া বলেন - বর্তমানে দেশে বিভেদ তৈরির মাধ্যমে অস্থির পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা চালানো হচ্ছে। মানুষের খাদ্যাভাস, সংস্কৃতিক আচার আচরণ ইত্যাদির উপর নিষেধাজ্ঞা জারির চেষ্টা করছে একটি গোষ্ঠী। যা উদ্বেগের বিষয়। সাধারণ, শান্তিপ্রিয় ও গণতান্ত্রিক, ধর্ম নিরপেক্ষ অংশের মানুষ স্বচেতন ভাবে এগিয়ে আসতে হবে যাতে এধরনের কর্মকাণ্ড না হতে পারে ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতি রক্ষা হতে পারে এমন সব অনুষ্ঠান করতে পারে।
গড়িয়া উৎসবকে যাতে সাম্প্রদায়িক বিবেদকামী শক্তি কোনো ভাবে ব্যবহার না করতে পারে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।
আগরতলা পুরনিগমের মেয়র ড. প্রফুল্লজীৎ সিনহা এবছরের গড়িয়া উৎসবের শরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন।
বিভিন্ন সাংস্কৃতিক দল আদিবাসীদের বিভিন্ন ধরনের নৃত্য ও সঙ্গীত পরিবেশন করেন। ত্রিপুরার আদিবাসীরা মূলত জুমে ভাল ফসল ও রোগ থেকে মুক্ত থাকার উদ্দেশে প্রাচীন কাল থেকে গড়িয়া উৎসবের আয়োজন করে আসছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৭
এসসিএন/এসএইচ