রাজ্যের সিপাহীজলা জেলার সোনামুড়া মহকুমার মেলাঘর, গ্রামতলী, উরমাই, কলমক্ষেত, পড়পাথর সহ আশেপাশের সব এলাকায় প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণে বোরোধান চাষ হয়। আর কিছু দিন পর বোরো ধান পাকতে শুরু করবে।
কিন্তু এরই মধ্যে ত্রিপুরা রাজ্যে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই সময় রাজ্যে এক এক দিন প্রায় ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এই বৃষ্টির জেরে রাজ্যের প্রায় সব নদীর পানির স্তর বেড়ে গেছে। কোথাও কোথাও বৃষ্টির কারণে প্লাবিত হচ্ছে নদীর দুই পাশের নিচু জমি।
অন্যান্য নদীর সঙ্গে ত্রিপুরা রাজ্যের বৃহৎ নদী গোমতীর পানির স্তরও বেড়ে গেছে। গোমতীর পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে সোনামুড়া মহকুমার মেলাঘর, গ্রামতলী, উরমাই, কলমক্ষেত, পড়পাথরসহ আশেপাশের এলাকার ধানের জমিসহ সবজি চাষের জমি তলিয়ে গিয়েছে। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ধানসহ ফসলী জমির। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজ্যে আরও কয়েক দিন চলতে পারে ভারী বর্ষণ। এমনটা হলে আরও বেশি বোরো ধানের জমি পানির তলায় তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় চাষিরা এখন কাঁচা ধান কেটে নিচ্ছেন। সেই সঙ্গে চাষিরা পানির তলায় তলিয়ে যাওয়া ধানও যতটুকু সম্ভব কেটে আনার চেষ্টায় ব্যস্ত।
তবে এই কাঁচা ধান কেটে তা থেকে চাল করলে খুব বেশি যে লাভ হবে না তা-ও বলছেন তারা। বিনয় বর্মণ নামে এক চাষি বাংলানিউজকে বলেন, পরিশ্রম করে ধান চাষ করে কিছুই না তুলতে পারার চেয়ে কাঁচা ধান ঘরে তোলা গেলেও মনে শান্তি আসবে।
এদিকে, লাগাতার বর্ষণে ধানের জমির পাশাপাশি সবজি চাষের জমিতেও পানি জমেছে।
সবজি চাষিরা বলছেন, আর ক’দিন সবজি চাষের জমিতে পানি জমে থাকলে ঝিঙে, পটল, করলাসহ অন্যান্য সবজি গাছের গোড়ায় পচন ধরে যাবে। পানি নেমে গেলে গাছ শুকিয়ে হলুদ হয়ে মরে যাবে।
এই অবস্থায় লাভ তো দূরের কথা, চাষের খরচ তোলাই কষ্ট কর হয়ে দাঁড়াবে বলেও বাংলানিউজকে জানান সবজি চাষিরা।
সব মিলিয়ে প্রাক মৌসুমী বর্ষা চাষিদের ক্ষতি ছাড়া আর কিছু নিয়ে আসতে পারেনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৭
এসসিএন/এইচএ/