ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

ত্রিপুরায় অদ্ভুতদর্শন ফুল নিয়ে তোলপাড়!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৬ ঘণ্টা, মে ২, ২০১৭
ত্রিপুরায় অদ্ভুতদর্শন ফুল নিয়ে তোলপাড়! তারাপুরের অদ্ভুতদর্শন ফুল/ছবি ও ভিডিও: বাংলানিউজ

আগরতলা: প্রকৃতি চলে তার নিজের খেয়ালিপনায়। তার সব সৃষ্টিও তাই। ত্রিপুরার পশ্চিম জেলার তারানগরে অস্বাভাবিক আকারের অদ্ভুতদর্শন এক ফুল জানান দিচ্ছে সেটাই।  

ত্রিপুরা পশ্চিম জেলার মোহনপুর মহকুমার অন্তর্গত তারানগর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত জমিতে সোমবার (১ মে) বিশাল আকারের খয়েরি রঙের একটি ফুল দেখতে পান স্থানীয় লোকজন।

অদ্ভুতদর্শন ফুল/ছবি: বাংলানিউজএকজন দু’জন করে এ বিশালায় ও অদ্ভুতদর্শন ফুলের খবর ছড়িয়ে পড়ে এ-গ্রাম ও-গ্রাম করে গোটা মোহনপুর মহকুমায়।

মুহূর্তের মধ্যে তারানগর গ্রামে জনতার ঢল নামে। ফুল, মোমবাতি, ধূপ জ্বেলে শুরু হয় পূজা-অর্চনা। ফুলটি দেখতে খানিকটা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দেবাদিদেব শিবলিঙ্গের মতো হওয়ায় রব ওঠে এটি শিব ঠাকুরেরই রহস্য!

এরই মধ্যে ভক্তি বা ব্যবসা যাই হোক- লাল কাপড় পরিহিত সাধুরও আবির্ভাব ঘটে কিছুক্ষণের মধ্যেই। উপরে শামিয়ানা টাঙিয়ে ফুলের সামনে প্রণামীর থালা রাখতেই ১০, ২০ রুপির নোট পড়তে থাকে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিমত এটি বাঘাই ফুল, তাদের যুক্তি পাশেই রয়েছে বাঘাই ফুলের গাছ। তবে এতো বড় আকারের ফুল তারা দেখেননি।

অদ্ভুতদর্শন ফুল/ছবি: বাংলানিউজএক দিনে কয়েক হাজার মানুষ ফুলটিকে দর্শন করেছেন বলেও জানান স্থানীয়রা।    
সমাধান দিলেন পাশের স্কুলের বিজ্ঞান শিক্ষক সঞ্জীব রায়। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এটি মূলত কচু জাতীয় গাছের ফুল। স্থানীয় ভাষায় একে বাঘেরডোগা বলা হয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম 'এমোরফোফেলাস টিটানাম'। একই কথা জানান সহকারী প্রধান শিক্ষিকা মধুমিতা নাথ।

সঞ্জীব রায় আরও জানান, এটি আকারে একটু বড় হওয়ায় মানুষের মধ্যে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। এ ফুল গাছের মাটির নিচে আলুর মতো মূল থাকে। অপেক্ষাকৃত উঁচু ও শুষ্ক জঙ্গলাকীর্ণ জায়গায় দেখা যায়। সাধারণত বসন্তের শেষে বৃষ্টি পড়লে পাতা ছাড়াই কলি বের হয়ে ফুল ফোটে। ফল ধরে ও কিছুদিন পর মজে যায়। তারাপুরের এ ফুলটির পাশে আর কোনো ফুল না থাকায় সাধারণের মধ্যে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। তবে এটি নেহায়েত একটি প্রাকৃতিক ঘটনা। এখানে অলৌকিকতার কিছু নেই।

তাই অহেতুক বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সাবারণ মানুষের প্রতি আহ্বান রাখেন উভয় শিক্ষক।

ত্রিপুরার আদিবাসীরা এ ফুল খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে। কিন্তু কোনো কারণে  ফুলটি আকারে বড় হওয়ায় কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৭
এসসিএন/আরআর/এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।