আগরতলা শহরের বিদুরকর্তা চৌমুহনী, আর এম এস চৌমুহনী, শকুন্তলা রোড, বিজয় কুমার চৌমুহনী, কদমতলী এলাকা, সৎসঙ্গ রোড, বনমালীপুরসহ বিভিন্ন এলাকা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকায় কোথাও কোমর সমান তো কোথাও এক বুক পানি।
জলাবদ্ধতার কারণে আগরতলায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। বহু রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
রাজ্যের অন্য এলাকায়ও অতিবৃষ্টির কারণে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীর পার্শ্ববর্তী খয়েরপুর, চানপুর, কাশীপুর, বলদাখাল, কাটাখাল এলাকার চারিদিকে শুধু পানি আর পানি। এসব নিচু এলাকার বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে।
ত্রিপুরা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার বাংলানিউজকে জানান, খয়েরপুর এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, টিএসআর বাহিনী ও পুলিশ কাজ করছে। পানিবন্দিদের উদ্ধার করে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে আসা হচ্ছে।
তবে উত্তর জেলার পরিস্থিতি অপেক্ষাকৃত ভালো। উত্তর জেলার ধমনগর পুরপরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মানিক লাল নাথ বাংলানিউজকে জানান, বৃষ্টি হচ্ছে। তবে এই এলাকায় এখনও বন্যা দেখা দেয়নি।
আবহাওয়া দফতরের দেওয়া তথ্য অনুয়ায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ত্রিপুরায় ১শ’২ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আগামী দুইদিন একইভাবে ভারী বৃষ্টিপাত হবে বলে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৭
এসসিএন/আরআর